টাঙ্গাইলের বাসাইলে টাকার জন্য স্ত্রী হত্যা মামলায় ঘাতক স্বামী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদন

টাঙ্গাইলের বাসাইলে স্ত্রীকে বর্ষার আঘাতে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। রবিবার (৬ অক্টোবর) বাসাইল বাজার এলাকা থেকে স্ত্রী স্বপ্না আক্তার হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ঘাতক স্বামী শাহিনুর রহমানকে আটক করা হয়। পরে দুপুরে তাকে টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার কাশীল ইউনিয়নের স্থলবল্লা গ্রামের শাহিনুর রহমান তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তারকে বর্ষা (দেশীয় অস্ত্র) দিয়ে হত্যা করার পর স্ব-পরিবারে আত্মগোপনে চলে যায়। এ ঘটনায় স্বপ্না আক্তারের পিতা বাসাইল পৌরএলাকার সাবেক মেম্বার মোঃ মোন্নান মিয়া বাদী হয়ে জামাতা শাহীনুরসহ আরো দুজনকে আসামী করে বাসাইল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরের দিন আজ রবিবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৬টার দিকে বাসাইল বাজার থেকে ঘাতক শাহিনুরকে আটক করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৬ বছর আগে বাসাইল পৌরসভার ব্রাক্ষনপাড়িল এলাImage may contain: 2 people, people standingকার মোন্নান মিয়ার বড় মেয়ে স্বপ্না আক্তারের(২৮) সাথে একই উপজেলার কাশীল ইউনিয়নের স্থলবল্লা গ্রামের পূর্বপাড়ার সামাদ মিয়ার ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী শাহিনুর রহমানের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের ৮ বছর পর তাদের ঘরে হাসান এবং ১৫ বছর পর মুস্তাকিন নামের ২ ছেলের জন্ম হয়। ৬ বছর আগে শাহীনুর সৌদি আরব থেকে স্থায়ীভাবে দেশে চলে আসে। স্বামীর বেকারত্ব নিয়ে উভয়ের মধ্যে মাঝে মাঝেই কথা কাটাকাটি হয়। এবছরের জুলাই মাসে শাহীনুর ওয়াল্টন কোম্পানীতে চাকুরী নেয়। আড়াই মাস চাকুরী করার পর গত ১৫/২০ দিন আগে সে চাকুরী ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে চলে আসে এবং স্ত্রীকে তার বাবার বাড়ির ওয়ারিশের সম্পত্তি আনার জন্য ক্রমাগত চাপ দিতে থাকে।

চাকুরী ছেড়ে দেয়া, ওয়ারিশের সম্পত্তি আনা এসব বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে পুনরায় ঝগড়া হলে গত ২ সপ্তাহ আগে স্ত্রী স্বপ্না স্বামী শাহীনুরের সাথে আর সংসার করবেনা বলে তার বাবার বাড়ি ব্রাক্ষনপাড়িল চলে আসে। এক সপ্তাহ আগে শাহীনুরের বাবা সামাদ মিয়া এবং মা তারাভানু অনেক বুঝিয়ে স্বপ্নাকে আবারো তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তুু পুনরায় শাহীনুর স্ত্রীকে ওয়ারিশের সম্পত্তি আনতে চাপ দিতে থাকে এবং গতকাল শনিবার (৫ অক্টোবর) ভোরে এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে শাহিনুর তার ঘড়ে থাকা ধারালো বর্ষা (দেশীয় অস্ত্র) দিয়ে স্ত্রী স্বপ্নাকে উপর্যোপরি বুকে পিঠে আঘাত করে। গুরুত্বর অবস্থায় স্বপ্নাকে শাশুড়ী তারাভানু এবং পাশ্ববর্তী মসজিদের ইমাম টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। এসময় হাসপাতালে লাশ ফেলে রেখে শাশুড়ি তারা ভানু পালিয়ে যায়।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.