যেভাবে পাচারকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেল ছোট্ট তানজিলা

নিজস্ব প্রতিবেদন : নিজের বুদ্ধিমত্তায় পাচারকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের ১১ বছর বয়সী শিশু তানজিলা আক্তার। গতকাল সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন সড়ক থেকে তাকে একদল দুর্বৃত্ত অপহরণ করে নিয়ে গেলেও নিজের বুদ্ধির জোরে তাদের হাত থেকে সে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়।

তানজিলা ওই এলাকার বেলাল সিকদারের মেয়ে। সে রাজৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।

অপহরণের শিকার তানজিলা জানায়, সোমবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে একটি কালো রঙয়ের মাইক্রোবাস এসে তার পাশে দাঁড়ায়। ওই সময় পাচারকারীরা তাকে জোর করে গাড়িতে তুলে নাকের কাছে একটি রুমাল ধরলে তানজিলা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে যখন তার জ্ঞান ফেরে তখন সে দেখে তাকে একটি তালাবদ্ধ ঘরে রাখা হয়েছে। সেখানে আরও একটি শিশু অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে।

এরমধ্যে একসময় পাচারকারী দলের কেউ সেখানে নেই নিশ্চিত হয়ে তানজিলা ওই কক্ষের জানালা ভেঙে বাগানের মধ্য দিয়ে মূল সড়কে উঠে একটি ভ্যানে করে বাড়িতে ফিরে আসে। ওই কক্ষে থাকা অপর শিশুটির ভাগ্যে কি হয়েছে, তা সে বলতে পারেনি।

এদিকে, তানজিলার মা রিনা বেগম জানান, স্কুল থেকে টিফিনের সময় বাড়িতে ফিরতে দেরি হওয়ায় তিনি বিচলিত হয়ে পড়েন। বিকেল পর্যন্ত কোনো খবর না পেয়ে তিনি ভেঙে পড়েছিলেন। সন্ধ্যার কিছু আগে তানজিলা ফিরে এসে খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খাঁন ও তার পরিবারের সদস্যদের কাছে ঘটনা খুলে বলে।

তানজিলা আরও জানায়, ওই এলাকায় তাকে নিয়ে গেলে সে তাকে আটকে রাখা বাড়িটি চিনতে পারবে।

তানজিলাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া ভ্যানচালক আমড়াগাছিয়া গ্রামের সালাম ফকির মুঠোফোনে জানান, বিকেল ৫টার দিকে শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ মহাসড়কের গাজীর ব্রিজ এলাকায় স্কুলের পোশাকপরা ওই মেয়েটিকে কাঁদতে দেখে তিনি নিয়ে আসেন।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার সরকার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.