- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
- যমুনা সারকারখানা চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী - September 18, 2024
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
স্বামী মারা গেছে ২৫ বছর আগে। দেখার মতো কেউ নেই তার। বর্তমানে পুটি বালার বয়স ৭৭। বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন । তারপরও ভাগ্যে জোটেনি একটি বিধবা ভাতার কার্ড। একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। মেয়ের পরিবারের অবস্থাও ভাল নয়।
পুটি বালার বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ১নং সুন্দরপুর-দূর্গাপুর ইউনিয়নের ছোটভাটপাড়া গ্রামে। ছোট ভাই জিতেন দাসের একটি কুড়ে ঘরে বসবাস করেন। সেখানে থেকে মাঝে মধ্যে তিনি মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভিক্ষা করেন।
পুটি বালার ছোট ভায়ের বউ সরলা দাস জানান, একটি বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য কত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন কিন্তু কেউ কার্ড করে দেয়নি। সাবেক মেম্বাররা কার্ড করে দেবে বলে অনেক ঘুরিয়েছে। কিন্তু কথা রাখেনি। বর্তমান কাদের মেম্বর দু’বার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি ও ছবি নিয়েছে। কিস্তু এখনও কার্ড করে দেয়নি।
বৃদ্ধা পুটি বলেন, কার্ড করে দেবার কথা বলে গত কয়েক বছর আগে এলাকার এক জনপ্রতিনিধি ৩ হাজার টাকা দাবি করেছিল। কিন্তু আমি টাকা দিতে না পারায় তাকে কার্ড করে দেয়া হয়নি। প্রকৃত বয়স্ক ও বিধবাদের কার্ড দেবার সরকারি নিয়ম থাকলেও পুটি বালা এখনো সেই নিয়মের মধ্যেই পড়েনি।
এ ব্যাপারে ১ নং সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইলিয়াস রহমান মিঠু জানান, বয়স্ক-বিধবা ভাতা কার্ড করার সময় আমি রাজনৈতিক মামলায় জেলে ছিলাম। আমি আগামিতে বিষয়টা দেখবো।