- একজন সৎ সাহসী ও মানবিক লেডি পুলিশ অফিসারের জীবন কালের গল্প - November 14, 2024
- ফরিদগঞ্জে চোরাইকৃত অটোরিক্সা ও সিএনজি স্কুটারসহ চার চোর গ্রেফতার - November 14, 2024
- আলীকদমের কৃষকরা পান চাষে স্বাবলম্বী - November 13, 2024
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুল হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের দিন পিছিয়ে আগামী ১৮ আগস্ট ধার্য্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ৫ আগস্ট এ মামলার প্রধান আসামি শাহজাদপুর পৌরসভার বরখাস্তকৃত মেয়র হালীমুল হক মিরুর জামিন আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য্য করা হয়।
কিন্তু বৃহস্পতিবার মিরুর আইনজীবীরা আবার তার জামিন এবং অভিযোগ গঠনের দিন পেছানোর আবেদন করেন। আদালত তখন মিরুর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন। তবে অভিযোগ গঠনের দিন পিছিয়ে ১৮ আগস্ট করা হয়।
দৈনিক সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আবদুল হাকিম শিমুল ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুর শর্টগানের গুলিতে গুরুতর আহত হন। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার খাতুন বাদী হয়ে শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র মিরুকে প্রধান আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে পুলিশ একই বছরের ২ মে মেয়র মিরু, তার ভাই মিন্টুসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে মেয়র মিরু কারাগারে আছেন। তবে অপর ৩৭ জন আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন। তারা এ পর্যন্ত জামিনেই আছেন।
রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, বৃহস্পতিবার মামলার চার্জ গঠনের পূর্বনির্ধারিত তারিখ হওয়ায় কারাগার থেকে আসামি মিরুকে আদালতে আনা হয়। এ সময় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকা অন্য আসামিরাও আদালতে উপস্থিত হন।
তিনি বলেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী একরামুল হক আসামি মিরুর জামিন আবেদন ও চার্জ গঠনের সময় পেছানোর আবেদন করেন। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার শুনানি শেষে মিরুর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে চার্জ গঠনের দিন আগামি ১৮ আগস্ট নির্ধারণ করে দেন।
বাদীপক্ষের শুনানিতে আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু ছাড়াও আইনজীবী রুস্তম আলী ও মোমিনুল ইসলাম বাবু অংশ নেন। আর আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন একরামুল হক ও আসলাম সরকার।