- বান্দরবানে কয়েকশত কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তির মালিক হেডম্যান মংথোয়াই চিং - September 20, 2024
- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
রেজাউল ইসলাম মাসুদ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেন পঞ্চগড়ের সহিংসতা সরকারের পাতানো ঘটনা। সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদেই এই ঘটনা ঘটেছে।
এর দায়ভার সম্পূর্ণ সরকারকেই নিতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতা’রা বিএনপি’র ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এবং আসল আসামিদের আড়াল করতেই বিএনপি’র উপর দোষ চাপাচ্ছে। আর এর সাথে তো সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা গুলি রয়েছেই।
আজ সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁয়ের নিজ বাসভবনে জেলা বিএনপির বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মিজা ফখরুল অভিযোগ করে আরো বলেন, রেলমন্ত্রীর সামনে আহমদীয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা স্পষ্ট করে বলেছেন আপনার আশেপাশের লোকেরাই এই সহিংসতার সাথে জরিত তার মধ্যে আব্দুর রহমানের নাম উল্লেখযোগ্য। কিন্তু তাদের কাউকেই গ্রেফতার করেনি পুলিশ, মামলাও হয়নি তাদের বিরুদ্ধে। উল্টো বিএনপি’র বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে এবং ১৮০ জন নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গণমাধ্যমকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা উচিত ,না করলে জনগণ তা মনে রাখে এবং সময় আসলে জনগনই তার উচিত জবাব দেয়।বাংলাদেশের যে সংস্কৃতি, রাজনৈতিক দলগুলোর একে অন্যের প্রতি অনাস্থা তাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার একমাত্র সমাধান। যার মাধ্যমে আমরা এই রাজনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে পারি এবং সকলের অংশীদারীতে একটি সুষ্ঠ নির্বাচন করতে পারি।
তিনি আরো বলেন, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ যে সাবেক এমপি হারুন ও ব্যরিষ্টার রুমিন ফাহানাকে দায়ী করেছেন। এটি সর্বাত্ত্বক মিথ্যা ও বানোয়াট ভিত্তিহীন। এই সরকার গোয়েনদা বাহিনীকে ব্যববহার করে বিএনপি’র বিরুদ্ধে অপপচারণা চালাচ্ছেন।
তিনি দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করে বলেন, সাবেক এমপি হারুন ও ব্যরিষ্টার রুমিন ফাহানার মতো মানুষ তাদের ফেসবুক আইডিতে পঞ্চগড়ের ঘটনার এমন পোষ্ট করতে পারেন না। এটা ফেইক ফেসবুক আইডি থেকে করা হয়েছে ও জনগণ তা কখনোই বিশ্বাস করবে না। উদ্দেশ্য তাদের ব্যক্তিগত ভাবমুর্তি ও বিএনপির ভাবমুর্তি নষ্ট করা এবং প্রকৃত ঘটনাকে অন্যদিকে প্রবাহিত করে আসল দোষীদের আড়াল করা।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে তিনি বলেন, পার্লামেন্টারি এক কমিটিতে আওয়ামীলীগও মতামত দিয়েছিল দেশে আরও দুই নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে হওয়া উচিত। এছাড়াও হাইকোর্টে একটি রিড করা হয়েছিল। সেখানে নয় জনকে ডাকা হয়েছিল। তাদের মধ্যে আটজনই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে কথা বলেছেন। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট এড়াতে একমাত্র সমাধান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান। সহ-সভাপতি আল মামুন, সহ সভাপতি ওবায়দুল্লাহ হক মাসুদ, ঠাকুরগাঁও ৩ আসনের সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান সহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.