নবম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের শারীরিক সম্পর্কের জেরে সন্তান প্রসব

নবম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের শারীরিক সম্পর্কের জেরে সন্তান প্রসব এবং সন্তান জন্মের পরও তাদের বিয়ে না হওয়ার ঘটনায় তাদের অভিভাবকদের (বাবা-মা) তলব করেছেন হাইকোর্ট।

আগামী ২৮ আগস্ট সকালে তাদের সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৮ আগস্ট) কিশোর আসামির জামিন শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

বুধবার (১০ আগস্ট) ওই কিশোরের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী মো. লাল মিয়ার অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া কিশোর ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন কিশোরীর বাবা হাবিবুর রহমান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, তার কিশোরী মেয়ে স্থানীয় দাখিল মাদরাসায় ক্লাস নাইনে পড়ে। দেড় বছর আগে মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লাল মিয়ার ছেলে প্রেমের সম্পর্ক করে। এমনকি ২০২১ সালের ১ অক্টোবর তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। তারপর আরও একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। একপর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গত ২৫ মে পরীক্ষা করে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। পরে ১ জুন পীরগাছা থানায় কিশোরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করা হয়। এরপর গ্রেফতার করা হয় ওই কিশোরকে। বর্তমানে সে যশোর শিশু সংশোধনাগারে রয়েছে।

 

এদিকে, গত ঈদুল আজাহার দুদিন পর ওই কিশোরী সন্তান প্রসব করে। বিয়ে না হওয়ায় নবজাতক বাবার স্বীকৃতি পায়নি।

আইনজীবী আরও বলেন, ছেলেপক্ষ কিশোরীর বাবার সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করেছে। কিশোরীকে ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে সন্তানের দায়িত্ব নিতে রাজি তারা। কিন্তু স্থানীয় গ্রাম্যপ্রধান, চেয়ারম্যান-মেম্বারের প্ররোচনায় কিশোরীর বাবা ১০ লাখ টাকা ও তিন বিঘা জমি দাবি করে। এ কারণে বিষয়টি সমাধান হয়নি।

‘পরে বিষয়টি আমি আদালতে কিশোর আসামির জামিন শুনানিতে উপস্থাপন করি। হাইকোর্ট সব শুনে কিশোর-কিশোরীর বাবা-মাকে আগামী ২৮ আগস্ট হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে জামিন শুনানি ২৮ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করেছেন।’ যোগ করেন আইনজীবী

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.