Latest posts by সম্পাদনা: এস.এম আব্দুর রাজ্জাক (see all)
- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
- যমুনা সারকারখানা চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী - September 18, 2024
সরিষাড়ী প্রতিনিধি:
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আরএনসি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা ঘটনায় রফাদফা করা হয়েছে।ধর্ষণের চেষ্টা ঘটনায় অর্থের মাধ্যমে রফাদফা হওয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত ১০ জুন শুক্রবার রাতে চুনিয়াপটল গ্রামের আছমত আলীর স্ত্রী শান্তি বেগম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে ১১ :৫০ মিনিটে একই গ্রামের রবিউল@অবিল ফকিরের ছেলে রিপন ঘুমন্ত শিক্ষার্থীকে মুখ চেপে ধরে বাড়ীর আঙ্গিনায় নিয়ে এসে ধর্ষণের চেষ্টা করে । ঘুম থেকে জেগে চিৎকার দিলে শিক্ষার্থীর মা মেয়ের সতীত্ব বাঁচাতে গেলে তাকে মারধুর করে পালিয়ে যায় রিপন। পালানোর সময় রিপন তার গেঞ্জি ও পায়ের পন্স রেখে পালিয়ে যায়। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন শিক্ষার্থীর মা শান্তি বেগম। ১১জুন শনিবার একটি মহল ধর্ষণের চেষ্টাকারী রিপনকে বাঁচাতে মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করে সংবাদ প্রকাশের পর মেয়ের বাবা বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। থানায় অভিযোগ করার পর গত ১৭ জুন( শুক্রবার) সাতপোয়া ইউপি’র ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার চাঁন মিয়া সহ কয়েকজন মাতাব্বরের উপস্থিতিতে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, এ রকম জঘন্যতম ঘটনায় মিমাংসা! এতে কোন আইনের বিচার হলো না। গ্রামের মাতাব্বর মেয়ের পরিবারকে বিভিন্নভাবে সমঝোতা করার জন্য বারবার চাপ প্রয়োগ করেছেন । এই ঘটনায় আইনের বিচার হওয়া প্রয়োজন ছিল।আইনের বিচার বাস্তবায়ন হলে অনন্ত পক্ষে এলাকায় এ রকম ঘটনা ভবিষ্যতে আর ঘটত না।
শিক্ষার্থীর চাচা হাফিজুর জানান, আমরা আপোষ হয়ে গিয়েছি। থানা থেকে অভিযোগ তুলে নিয়ে এসেছি। শালিস কারা করেছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, চাঁন মিয়া মেম্বার ছিলো আর ফাকের লোক এসে শালিস করেছে।আমাদের তো এলাকায় বসবাস করতে হবে। তাই আপোষ হয়েছি।
বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে চাঁন মিয়া মেম্বার বলেন, মিমাংসা করে দেওয়া হয়েছে। এতো টাকা না।আর সামনাসামনি কথা বলবনি এসে।
কথা হলে সরিষাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল মজিদ বলেন, সাংবাদিকরা নাকি ডেকে নিয়ে বক্তব্য নিয়েছে এটা বলে একটা দরখাস্ত দিয়ে গেছে এরা । আর বেশি আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মীর রকিবুল হকের বক্তব্য নেওয়ার জন্য মুঠোফোনে কল দিলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.