- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
- যমুনা সারকারখানা চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী - September 18, 2024
আগামী ৫ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় ৩ নম্বর জামুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে (ভ্যানগাড়ি) প্রতীক নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে মাঠে নেমেছেন মোনছের। তিনি পেশায় ভ্যানচালক। স্ত্রী ও এক মেয়ে নিয়ে তার সংসার।
৩৫ বছর যাবৎ ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন মোনছের। এবার তিনি জনপ্রতিনিধির খাতায় নাম লেখাতে ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। পেশায় ভ্যানচালক মোনছের প্রতীকও পেয়েছেন ভ্যানগাড়ি।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘিরে ভিন্ন পেশার এ মানুষটি এখন সবার আলোচনায়। মনের সুপ্ত বাসনা থেকেই ভোটে দাঁড়ানো, এমনটিই জানান মো. মোনছের আলী। সাধ্য না থাকলেও অনেকটা সাধ করেই নির্বাচন করছেন। দুপায়ের জোরে তিন চাকার ভ্যান চালিয়েই চষে বেড়াচ্ছেন ভোটের মাঠ।
কোনোদিন স্কুলের পথ না মাড়ানো মো. মোনছের আলী নিজের নাম সই করতে পারেন না। তাতে কী, মনোনয়নপত্র ও হলফনামায় টিপসই ব্যবহার করেছেন। তার সহধর্মিনী বাড়িতে হাঁস-মুরগি লালন-পালন করেন। মা, স্ত্রী ও এক মেয়ে নিয়েই তার সংসার। ভ্যান চালিয়ে যা আয় হয় এবং স্ত্রীর লালিত-পালিত হাঁস-মুরগির ডিম বিক্রির অর্থ দিয়েই চলে তাদের অনটনের সংসার।
পেশায় ভ্যানচালক হলেও অনেক দিন থেকেই তিনি নির্বাচন করার ইচ্ছে মনের মধ্যে পুষে রেখেছিলেন। এবার তার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন মাত্র।
একই ওয়ার্ডের ভোটার জামুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, মোনছের দরিদ্র মানুষ। ভ্যান গাড়ি চালিয়েই তার সংসার চলে। গ্রামের মানুষের আগ্রহের কারণেই তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এলাকার মানুষের চাঁদা দিয়ে তার নির্বাচনী ব্যয় মেছাচ্ছেন। দরিদ্র ভ্যানচালক মোনছেরকে নিয়ে এবার ভোটারদের মাঝে ব্যপক আগ্রহ রয়েছে।
জামুরিয়া বাজারের হোটেল মালিক রমজান আলী বলেন, এলাকার ভোটারদের মধ্যে তাকে নিয়ে ব্যাপক সাড়া আছে। নিজের ভ্যান নিয়েই তিনি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ভোট চাইছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তার জয়ের সম্ভাবনা বেশি।
মো. মোনছের আলী জানান, অনেক দিন ধরেই মনে মনে ভোটে দাঁড়ানোর আশা ছিল । টাকা পয়সা না থাকায় মুখ খুলতে পারেননি। এবার গ্রামের মানুষ উৎসাহী হয়ে তাকে ভোটে দাঁড় করিয়েছেন এবং তারাই টাকা পয়সা দিয়ে নির্বাচন পরিচালনায় সাহায্য সহযোগিতা করছেন। জনগণের উৎসাহ নিয়েই আমি ভোটের মাঠে নেমেছি। আশা করি ভোটাররা আমাকে বিজয়ী করবেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.