শুনানিতে বাবুল ‘হত্যা মামলার আমি সংবাদদাতা’

স্ত্রী হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলা তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার ঘটনায় আদালতে নারাজি আবেদন জমা দিয়েছিলেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। বুধবার (২৭ অক্টোবর) মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালতে শুনানিতে অংশ নিয়ে বাবুল বলেন, ‘হত্যা মামলার আমি সংবাদদাতা। এ ঘটনায় দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিল। তারা আমার নাম (বাবুল) বলেনি। এখন পিবিআই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে জড়িয়ে নতুন করে জবানবন্দি নিচ্ছে।’

বাবুলের বক্তব্য আদালত নিয়েছেন নিশ্চিত করে বাবুলের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেছেন, ‘আদালত বাবুলের বক্তব্য নিয়েছেন। শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ৩ নভেম্বর আদেশের জন্য রেখেছেন।’

স্ত্রী হত্যার ঘটনায় নিজের মামলাটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর দ্বিতীয় দফা শ্বশুরের দায়ের করা মামলায় এখন ফেনী কারাগারে বন্দি আছেন বাবুল আক্তার। বুধবার শুনানির আগে তাকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়। এরপর দুপুরে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানির পর পুনরায় তাকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালত থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।

এর আগে গত ১৪ অক্টোবর আদালতে নারাজি আবেদন করেন বাবুলের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। এতে দাবি করা হয়, বাবুল আক্তার পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি স্ত্রী হত্যা মামলার সংবাদদাতা। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে মারা যান মিতু। এই ঘটনায় বাবুল আক্তার অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার তদন্ত শেষে গত ১২ মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। একইদিন বাবুল আক্তারসহ আটজনের বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বাবুল কারাবন্দি রয়েছেন। সর্বশেষ মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুলকে জড়িয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি এহতেশামুল হক ভোলা।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.