- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
- যমুনা সারকারখানা চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী - September 18, 2024
ঢাকার বুকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল চিকিৎসা সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। গত ২১ জুন আমি করোনা আক্রান্ত হলে অনেকে বলেছিল, আমি যেন সিএমএইচ এ গিয়ে ভর্তি হই। কিন্তু কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালটি উত্তর সিটি করপোরেশনের মধ্যে বলে নগর পিতা বা নগর সেবক হিসেবে ওই হাসপাতালেই ভর্তি হই। তখন আমার মেয়ে গর্ভবতী ছিল, সেও ওখানেই ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়। এই হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা খাওয়া-দাওয়ার মন এত ভালো যে আমি প্রধানমন্ত্রীকে পর্যন্ত ফোন করে জানিয়েছিলাম। বর্তমানে এই হাসপাতাল একটা ব্র্যান্ড। অন্যান্য হাসপাতালগুলিরও সেবার মান বৃদ্ধি করা উচিত।
সোমবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) আয়োজিত ডেঙ্গু এবং করোনার সমন্বিত চিকিৎসা বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল শাখা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) আহবায়ক ডা. মো. বাহাউদ্দিন মোল্লা বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. সরকার মোহাম্মদ শাহাদৎ হোসেন, ডা. মুহাম্মদ ফজলুল হক, ডা. স্বদেশ বর্মন ও ডা. মো. রাকিবুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন হাসপাতালটির জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আল-মামুন শাহরিয়ার ও মেডিকেল অফিসার ডা. আয়েশা সিদ্দিকা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরও বলেন, আমি এই হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সময়ে যে খাবার পেয়েছি, যে চিকিৎসা সেবা পেয়েছি, আমি আর লোভ সামলাতে পারিনি। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে বসেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি। এরপর আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের সঙ্গেও কথা বলেছি।
বৈজ্ঞানিক অধিবেশনে বক্তারা বলেন, ডেঙ্গু এবং করোনা সম্পূর্ণ আলাদা রোগ হলেও তা কারো একসঙ্গে হতে পারে। ডেঙ্গু রোগে ফ্লুইড দিতে হয়, কিন্তু করোনা রোগীকে তা দেওয়া যায় না। একসঙ্গে এই দুই রোগের ব্যবস্থাপনা বেশ জটিল এবং এ নিয়ে তখন আলাদা করে ভাবতে হয়। আশার কথা যে, আমরা ভালভাবেই এসব রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করতে পারছি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.