বউ-শাশুড়ির কথা উঠতেই মনে হয় তাদের মধ্যে একটা ঝগড়ার সম্পর্ক

বউ-শাশুড়ির কথা উঠতেই মনে হয় তাদের মধ্যে একটা ঝগড়ার সম্পর্ক। মেয়েরা যেমন ধরে নেন শাশুড়ি মাত্রই খারাপ, তেমনই শাশুড়িরা ভাবেন এবার ছেলে হাতছাড়া হয়েই গেল। সেই সঙ্গে শাশুড়িরা কিন্তু কখনই বউমাকে আপন মেয়ে করে নিতে পারেন না, তেমনই মেয়েরা শ্বশুরবাড়িকে নিজের বাড়ি হিসেবে মেনে নিতে পারেন না।

এছাড়াও বউমাকে নিয়ে অভিযোগ কিন্তু শাশুড়িরা করেই থাকেন। এর পেছনে প্রধান কারণ ভুল বোঝাবুঝি। আর সেই ভুল বোঝাবুঝি একবার হলে কেউ আর তা মিটিয়ে নেবার উদ্যোগ নেন না। যে কারণে প্রথমেই একে অপরকে দোষারোপ না করে ভালো করে বুঝতে হবে। সেই সঙ্গে একটি মেয়ে যখন মা হিসেবে আপনাকে ডাকছে তখন কিন্তু তাকে নিজের মেয়ের মতোই দেখা উচিত। এই সম্পর্ক যেভাবে মধুর হয়ে উঠতে পারে।

একসঙ্গে রান্না করুন

রান্নাঘর কিন্তু সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য আদর্শ জায়গা। তাই একসঙ্গে খাবার বানাতেই পারেন। একে অপরকে সাহায্য করুন। আর বউমা যদি কেটে কুটে আপনাকে সাহায্য করে তাহলে কিন্তু প্রশংসা করতে ভুলবেন না। আর বউমা যদি কোনো এক্সপেরিমেন্টাল রান্না করেন তাহলেও কিন্তু তাকে উৎসাহ দিতে ভুলবেন না।

পরামর্শ নিন

শাশুড়ি মা বয়সে বড়, অভিজ্ঞ মানুষ। আর তাই প্রয়োজনে অবশ্যই তার পরামর্শ নিন। সেই সঙ্গে নিজে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে সেই বিষয়েও আলোচনা করুন। এতে তারও মনে হবে আপনি তাকে শ্রদ্ধা করেন। সেই সঙ্গে সম্পর্কও উন্নতি উঠবে। স্নেহ ভালোবাসা বাড়বে।

তার সম্বন্ধে জানতে চান

শাশুড়ির স্কুল, পড়াশোনা তার পছন্দ এসব নিয়ে মাঝে মধ্যেই কথা বলুন। কেমন গান পছন্দ, বই কেমন পড়তে চান সেসবও নিয়েও কথা বলুন। তার ছোটবেলা কেমন কেটেছে, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে এসে তার কেমন কেটেছে সেসব জানতে চান। দেখবেন আপনার এই প্রশ্নে তিনি কত খুশি হয়েছেন, তার চোখেমুখে সেই উত্তেজনাও ধরা পড়বে।

স্বামীর ছোটবেলার গল্প শুনতে চান

সব ছেলেই ছোট বেলায় বেশ দুষ্টু থাকেন। সেই সঙ্গে দস্যিপনার গল্প তো থাকেই। স্বামীর স্কুল, পড়াশোনা, বন্ধু এসবের গল্প শুনুন। সেই সঙ্গে স্বামী কত মার খেয়েছেন সেসব জানুন। জন্মদিন, স্কুলে প্রাইজ পাওয়ার ছবি পুরনো অ্যালবাম ঘাঁটতে বসুন শাশুড়ির সঙ্গে। দেখবেন, দুজনেরই খুব ভালো লাগছে।

একসঙ্গে ঘুরতে যান

মাঝেমধ্যেই শাশুড়ি বউমা মিলে ঘুরতে যেতে পারেন। কিংবা শপিংও করতে পারেন। পছন্দের কোনো কফি শপে গিয়ে এক কাপ কফি নিয়ে দুজনে গল্প করুন। কখনও ছোট ট্রিপেও যেতে পারেন। ছোট খাটো উপহারও দিতে পারেন মাঝে মধ্যে। এভাবেই দেখবেন দুজনের মধ্যে তৈরি হয়েছে বন্ধুত্ব।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.