- কিশোরগঞ্জে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ৬৯ শতাংশ জমি উদ্ধার - November 7, 2024
- জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে কিশোরগঞ্জে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য র্যালি - November 7, 2024
- ৭নভেম্বার ঐতিহাসিক মহাবিপ্লবের নাম - November 7, 2024
রাজবাড়ী দৌলতদিয়া পতিতাপল্লী থেকে পাচার হয়ে আসা ১৪ জন কিশোরীকে জেলা পুলিশের সদস্যরা উদ্ধার করেছে। গেলো মঙ্গলবার রাতে একটি তালাবদ্ধ ঘর থেকে এই ১৪ জন কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া কিশোরীরা গতকাল বুধবার দুপুরে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাদের ওপর হওয়া নির্মমতার চিত্র প্রকাশ করেন এবং তারা জেলা পুলিশের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীর নাজমা বাড়িওয়ালীর একটি তালাবদ্ধ ঘর থেকে ওই সব কিশোরীকে গোয়ালন্দ থানা পুলিশের সদস্যরা উদ্ধার করেছেন।
উদ্ধার হওয়া তরুণীরা জানান, নাজমা নামের ওই বাড়িওয়ালী তাদেরকে জোর করে খদ্দেরের কাছে পাঠায়। অনেক অনুরোধ করেও তারা নাজমার হাত থেকে বাঁচতে পারেননি। কাজ করতে না চাইলে নাজমা তাদের মারধরও করেছেন। উদ্ধার হওয়া তরুণীরা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।
উদ্ধার হওয়া কিশোরীদের নাম ও পরিচয় গোপন রেখে স্ব স্ব পরিবারের কাছে পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা তারা করবেন। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনা অত্যান্ত হৃদয়বিদায়ক। পাচারকারীরা কৌশলে এইসব অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরীদের ফাঁদে ফেলে দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীতে এনে বিক্রি করে। আর ক্রেতা বাড়িওয়ালী এইসব কিশোরীদের ওপর চালায় নির্মম নির্যাতন। এমনি পরিবেশ থেকে এই ১৪ জনকে তারা মুক্ত করতে পেরেছেন। তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আরও বলেন, ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীর নাজমা বাড়িওয়ালীর একটি তালাবদ্ধ ঘর থেকে ওইসব কিশোরীকে গোয়ালন্দ থানা পুলিশের সদস্যরা উদ্ধার করেছেন। পাচারকারীরা কৌশলে এইসব অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরীদের ফাঁদে ফেলে দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীতে এনে বিক্রি করে। আর ক্রেতা বাড়িওয়ালী ওইসব কিশোরীদের ওপর চালায় নির্মম নির্যাতন। এমনি পরিবেশ থেকে এই ১৪ জনকে তারা মুক্ত করতে পেরেছেন। তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাউদ্দিন, ডিআইও ওয়ান সাইদুর রহমান, গোয়ালন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়েবীর, রাজবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার, ডিআইও টু প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাসসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.