- বান্দরবানে কয়েকশত কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তির মালিক হেডম্যান মংথোয়াই চিং - September 20, 2024
- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী (২২) হত্যা মামলায় পলাতক চার আসামির সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আগামী ৫ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম মো. কায়সারুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৮ নভেম্বর আদালত ওই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেপ্তার এড়াতে আসামিরা পলাতক রয়েছেন মর্মে মঙ্গলবার পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত পলাতকদের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন।
এছাড়া আজ মামলাটিতে স্বীকারোক্তিকারী আসামি মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়নের পক্ষে আইনজীবী গোলাম নূর-ই-আজমতার কাজল স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। যা আদালত আসামির স্বাক্ষর করিয়ে নথিভুক্তের আদেশ দিয়েছেন।
মামলাটিতে কারাগারে থাকা ২১ আসামিকে সকালে কারাগার থেকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। তবে নিরাপত্তা জনিত কারণে তাদের আদালতে ওঠানো হয়নি।
যাদের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- রংপুর জেলার কোতয়ালি থানার পাকপাড়ার বাসিন্দা ডা. মো. আব্দুল জলিল মন্ডলের ছেলে বুয়েটের ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র মুহাম্মাদ মোর্শেদ-উজ-জামান মন্ডল ওরফে জিসান (২২), নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থানার নেয়ামতপুর মুন্সিপাড়ার আবু মো. কাউছার ওরফে পিন্টুর ছেলে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম (২০), চাঁপাইনাবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার কাজী গ্রামের মো. রবিউল ইসলামের ছেলে বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র মোর্শেদ অমত্য ইসলাম (২২) এবং দিনাজপুর জেলার কোতয়ালি থানার উত্তর বালু বাড়ির ছায়েদুল হকের ছেলে বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র মুজতবা রাফিদ (২১)।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন।
কারাগারে থাকা আসামিরা হলেন, বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররেফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, মো. মনিরুজ্জামান মনির, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদুর রহমান ও এএসএম নাজমুস সাদাত, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইসাতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, শিক্ষার্থী আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান, শিক্ষার্থী শাসছুল আরেফিন রাফাত, আকাশ হোসেন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, শামীম বিল্লাহ, মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা ও এস এম মাহমুদ সেতু। যাদের মধ্যে প্রথম ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তি করেছেন।
উল্লেখ্য, আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলার ১০১১ নম্বর কক্ষে। গত ৬ অক্টোবর একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে তাঁকে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়।
রাত তিনটার দিকে হল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.