ভাইয়ের বিরুদ্ধে পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি থেকে বোন কে বঞ্চিত করার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার :
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ভাইয়ের বিরুদ্ধে বোনকে পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি থেকে বোন কে বঞ্চিত সহ নানাভাবে হয়রানি করার অভিযোগ ওঠেছে। সোমবার (১১ আগস্ট) নার্গিস খাতুন এর বড় ভাই কামরুজ্জামান ছোট ভাই আব্দুল্লাহেল কাফি এর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের চর হরিপুর গ্রামের মকবুল হোসেন ৩ ছেলে ২ মেয়ে সহ স্ত্রী রেখে মারা যান। পরবতীতে বড় ছেলে কাউছার আলম নিঃসন্তান হিসেবে মারা যান। নি:সন্তান কাউছার আলমের স্ত্রী লায়লা আক্তার তার স্বামীর হিস্যানুযায়ী সিকি অংশ উনিশ শতাংশ ভুমি প্রাপ্ত হয়ে অপর অংশিদার কামরুজ্জামান ,আব্দুল্লাহেল কাফি ও লায়লা আক্তারের যৌথ নামজারী ও লায়লা আক্তারের একক নামজারী মুলে ননদের জামাই দেলোয়ার হোসেন এর নিকট ২০২৩ ইং সালের ১৩ আগষ্ট সাব কবলা দলিল মূলে বিক্রি করে দখল বুঝিয়ে দেন। বোন জামাই দেলোয়ার হোসেন এর ক্রয়কৃত ভ’মি ও নার্গিসের পৈতৃক সম্পত্তি ভাটারা ও চর হরিপুর দুটি মেীজায় হিস্যানুযায়ী প্রায় ৫৫ শতাংশ ভ’মি প্রাপ্ত হন নার্গিস খাতুন। ওই ক্রয়কৃত ও পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে ভুমি গুলো জবর দখলে রেখেছেন কামরুজ্জান ও আব্দুল্লাহেল কাফি।
এ ছাড়াও ভাটারা ইউপির হরিপুর মৌজার (গাবতলী বাজারের উত্তর পার্শ্বে) কাউছার আলম , কামরুজ্জামান ও আব্দুল্লাহেল কাফির নামীয় সাবকবলা দলিল মুলে মালিকানা হয়ে বোন জামাই দেলোয়ার হোসেন এর নিকট প্রায় ২২ বছর পূর্বে সাবকবলা দলিল সম্পাদন করে দেওয়ার আশ্বাষে ১০লক্ষ টাকা নিয়ে জমির দখল বুঝিয়ে দেন কামরুজ্জামান ও আব্দুল্লাহেল কাফি। পরে সুমুন্ধি ও শ্যালকের বুঝিয়ে দেওয়া ভ’মিতে দেলোয়ার হোসেন মাটি ভরাট করে বসতবাড়ী গড়ে তোলেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান। উক্ত ভ’মিতে রোপিত বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা গুলো বর্তমানে বড় বড় হওয়ায় বাড়ীর জমি সাবকবলা লিখে না দিয়ে বেদখল করার জন্য ওই বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে গাছ গুলো কর্তনের জন্য কামরুজ্জামান এর ভাইরা ফরহাদ হোসেন জোহার এর নিকট বিক্রি করেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। গাছগুলোর ক্রেতা ফরহাদ হোসেন কর্তন করতে গেলে স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে ও দোলেয়ার হোসেন এর স্ত্রী নার্গিস খাতুন সরিষাবাড়ী থানায় ৩০ জুলাই অভিযোগ দেওয়ায় সরিষাবাড়ী থানার এস আই আব্দুল হান্নান ঘটনা স্থলে গিয়ে গাছ কর্তন বন্ধ রাখার জন্য বলেন এবং উভয় পক্ষের মাধ্যে আপোষ মিমাংসার জন্য থানায় বসার কথা বললেও তা আমান্য করে আবারও বড় বড় ৩টি মেহগনি গাছ কর্তন করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী নার্গিস পরিবার পরিজন কে মিথ্যা মামলা ও খুন জখম ও মিথ্যা মামলায় ফাসানোর জন্য হুমকি প্রদান করায় তারা নিরাপত্তা হীনতায় প্রশাসনের আশুদৃষ্টি কামনা করেছেন। কামরুজ্জামান ও আব্দুল্লাহেল কাফি তার বোন নার্গিস খাতুন কে বঞ্চিত করতে ভাটারা ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বাদলের স্বাক্ষর জাল করে ওয়ারিশ সনদ বানিয়ে সম্পত্তির নাম জারী করে নেয়। এবং ভাটারা ইউনিয়নের সাবেক ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নার্গিস খাতুন এর স্বাক্ষর জাল করে নন জুডিশিয়াল ষ্টাম্পে ১১ লক্ষ টাকার সরিষাবাড়ী সিআর আমলি আদালতে ২৮৮ নং মামলা দায়ের করেছে নার্গিসের ভাই। আদালতে দায়ের করা মামলাটি সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ এর নিকট তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এসব বিষয়ে অভিযুক্ত কামরুজ্জামান এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা বোনের প্রাপ্ত সম্পত্তি প্রতি দাগ থেকে তার প্রাপ্ত অংশ দিয়ে দিব । কিন্তু আমাদের তৈরী করা থাকতে দেওয়া বসত বাড়ী হতে সরতে হবে। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা অভিযোগ আনছে এর বিচারও চাই।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.