ডুমুরিয়ায় প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা, বাকি মাত্র ১৬ দিন

 খুলনা প্রতিনিধি

খুলনার ডুমুরিয়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা, তাই দেবী দুর্গার আগমনীর বার্তা নিয়ে এবার ডুমুরিয়ায় ২১৪ টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে । এ জন্য মূর্তি তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ডুমুরিয়ার মৃৎশিল্পীরা। আগামী ষষ্ঠী তিথিতে শুরু হবে এ পূজা এবং দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে অনুষ্ঠান। প্রতি বছরের মতো এবার পূজার সেই পুরনো সংস্কৃতি অনেকটা থাকবে না। মহালয়া থেকে শুরু করে শারদীয় উৎসবের সব ক্ষেত্রেই থাকছে স্বাস্থ্য বিধির কড়া নির্দেশ।

 

সেই কারণে এবার আশ্বিনে দেবীর পূজা হবে না। মহাঅষ্টমী এবং মহানবমী ও মহাদশমী বা বিজয়া দশমী হবে। এ দিন প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। উপজেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপে ঘুরে দেখা যায়, কাদা-মাটি, বাঁশ, খড় দিয়ে শৈল্পিক ছোঁয়ায় গড়ে তোলা দেবীদুর্গার প্রতিমা তৈরিতে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা কারিগররা।প্রতিমা তৈরি কারিগর ডুমুরিয়ার আধারমানিক এলাকার পরিতোষ গোসাই (৪৮) বলেন, প্রতি বছর এ সময় ২০-৩০ টি পূজা মন্ডপের কাজ করে থাকি, এ বছর মাত্র ১০ টি পূজা মন্ডপের কাজ করছি।

 

প্রতিটি প্রতিমার দাম ৩০/৩৫ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে কিন্তু অতীতের মত ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না, একই কথা বলেন বিভিন্ন পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ করতে আসা শিল্পীরা। আওয়ামীলীগ নেতা আশুতোষ অধিকারী বলেন, শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে পুজা উদযাপন হোক এমন প্রস্তাবনা দাবি করছেন প্রশাসনের প্রতি । উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক গোবিন্দ ঘোষ বলেন, এবার স্বাস্থ্যবিধি ও পুরুষ, মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা বসার স্থান এবং যাতায়াতের ব্যবস্থা রেখে পূজা সম্পর্কিত বিভিন্ন নির্দেশনা রয়েছে।

 

আমাদের এ নির্দেশনা মানতে হবে। ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিব রহমান জানান-আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে থানা পুলিশ, আনসার, উপজেেলা প্রশাসন সহ গোয়েন্দা বিভাগের লোক সর্বক্ষনিক তদারকিতে থাকবেন কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা ঘটতে দেয়া হবেনা।

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.