- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
- যমুনা সারকারখানা চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী - September 18, 2024
মো.দুলাল হোসেন রাজু,জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি.
সিলেট জেলা পুলিশের নবাগত অফিসার ইনচার্র্জ মো তাজুল ইসলাম জৈন্তাপুর মডেল থানায় যোগদানের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালান প্রতিরোধে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ সাফল্য অজন কওে চলছে ,নবাগত অফিসার ইনচার্জ মো.তাজুল ইসলাম ইতুমধ্যেই জৈন্তাপুর উপজেলার সাধারণ মানুষের কাছে মানবিক ওসি হিসেবে বেশ পরিচিতি হয়েছেন। অপরাধ দমনে তিনি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি যোগদানের পর গত ১লা সেপ্টম্বর ২০২৩ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং পর্যন্ত ২২ দিনের মাথায় জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালান প্রতিরোধ অভিযানের অংশ হিসেবে জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক-পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ভারত থেকে চোরাই পাথে আসা ভারতীয় গরু-মহিষ,চিনি,বিদেশী মদ, মোবাইলসেট ভারতীয়,চাপাতা মদ,গাজা বিভিন্ন ব্যান্ডের পণ্যসামগ্রী জব্দসহ চোরাকারবারীদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে।আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৭টি নিয়োমিত মামলা রজু করেছেন। এরই ধারাবাহিকথায় গত ৫ সেপ্টেম্বর এস আই সাহিদ মিয়ার নের্তেৃত্বে জৈন্তাপুর উপজেলার ঘিলারতৈল এলাকার আব্দুর রশিদের বসত ঘর থেকে ৩৫ বস্তা ভারতীয় চিনি আটক করে ১৯৭৪ ইং সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ বি ধারায় মামলা রজু করা হয়। মামলা নং ৫। ৬ সেপ্টেম্বর এস আই নাজমা বেগম’র নের্তৃত্বে যশপুর সাইট্রাস কেন্দ্রের সমন থেকে ৬ বস্তা ভারতীয় চিনি আটক করা হয় জৈন্তাপুর থানার মমলা নং-৭। ৯ সেপ্টেম্বর এস আই রসুল আহমেদ’র নের্তৃত্বে জৈন্তাপুর পুর্ব বাজার গরুর হাটের প্রবেশ মূখ থেকে ১০টি ভারতীয় গরু আটক করে মামলা রজু করেন মামলা নং ৮। ৯ সেপ্টেম্বর এস আই সাহিদ মিয়ার নের্তেৃত্ব ২নং লক্ষীপুর জামে মসজিদের সামন থেকে ১৮ বস্তা ভারতীয় চিনি আটক করে মামলা রজু করা হয় মামলা নং ৯। ১১ সেপ্টেম্বর এস আই মহিবুর রহমান’র নের্তেৃত্বে জৈন্তাপুর বড় পকুর পাড় বসির মিয়ার বাড়ীতে নিজাম মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসায় ২৬ বস্তা ভারতীয় চিনি আটক করে মামলা রজু করে মামলা-১২। ১৩ সেপ্টম্বর এস আই নাজমা বেগম’র নের্তেৃত্বে ঘিলারতৈল এলাকায় আছিয়া বেগমের বসতঘরে তলাশি চালিয়ে ২২ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করে মামলা রজু করে মামলাং-১৪। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ এস আই সাহিদ মিয়া’র নের্তেৃত্বে কাটাগাং নামক স্থানে সিলেট তামাবিল মহাসড়কের উপর একটি প্রাইভেটকারে তলাশি চালিয়ে ২৯৭ পিছ ভারতীয় মোবাইল জব্দ করে মামলা রজু করে মামলা নং-১৫। ১৪সেপ্টেম্বর এস আই মীর্জা সাফায়েত’র নের্তৃত্বে যশপুর এলাকায় রশিদ মিয়ার বসত ঘরে অভিযান পরিচালনা করে ৩৭ বস্তা ভারতীয় চিনি আটক করে মামলা রজু করে জৈন্তাপুর থানার মামলা নং-১৬। ১৪ সেপ্টেম্বর এস আই শফিকুল ইসলাম’র নের্তৃত্বে জৈন্তাপুর হাসপাতালের সামনে অভিযান চালিয়ে ১৮টি ভারতীয় গরু আটক করে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা রজু করা হয় মামলা নং-১৭। ১৪ সেপ্টেম্বর এস আই মহিবুর রহমান’র নের্তৃত্বে জৈন্তাপুর বাজার সংলগ্ন হাসপাতালের সামন থেকে ১৫টি ভারতীয় মহিষ আটক করে মামলা রজু করে মামাল নং-১৮।১৬ সেপ্টেম্বর এস আই মোস্তাফিজুর রহমান’র নের্তৃত্বে নয়াবাড়ি এলাকার আমির উদ্দিন’র বসত বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২৬ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করে মামলা রজু করেন মামলা নং ২১। ১৮ সেপ্টেম্বর এস আই মো. হাফিজুর রহমানের নের্তৃত্বে চাঙ্গিল ব্রীজের পশ্চিম পাশে রাস্তার উপরে ৮ লক্ষ টাকা মুল্যের ভারতীয় ওষুধ জব্দ করে মামলা রজু করে মামলা নং-২৭। ১৯ সেপ্টেম্বর এস আই পার্থ রঞ্জন চক্রবতী’র নের্তৃত্বে লক্ষী প্রসাদ ফেরিঘাট এলাকায় ৬টি ভারতীয় গরু আটক করে মামলা রজু করেন মামলা নং -২৯। ২০ সেপ্টেম্বর এস আই পার্থ রঞ্জন চক্রবতী নের্তৃত্বে জৈন্তাপুর বাজারস্থ সুন্দর বন কুরিয়ার সার্ভিস’র সামনের রাস্তার উপর থেকে ৭ বস্তা ভারতীয় চিনি আটক করেন ম্ামলা রজু করা হয়,মামলা নং-৩১। ২০ সেপ্টেম্বর এস আই নাজমা বেগম’র নের্তৃত্বে জৈন্তাপুর থানাধীন শিখার খা এলাকায় একটি বসতঘরে অভিযান চালিয়ে ১৪ বস্তা ভারতীয় চা পাতা আটক করে মামলা রজু করেন মামলা নং-৩২। ২১ সেপ্টেম্বর এস আই রসুল আহমদ’র নের্তৃত্বে জৈন্তাপুর বাজারের পলাশী রেস্টোরেন্টর সামনে অভিযান চালিয়ে ৩১ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করে মামলা রজু করা হয় মামলা নং-৩৩। ২৩ সেপ্টম্বর এস আই পার্থ রঞ্জন চক্রবতী নের্তেৃত্বে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের হাইওয়ে থানা সংলগ্ন রাস্তায় অভিযান চালিয়ে ১১ বোতল বিদেশী মদসহ আসামী আটক করে মামলা রজু করেন,মামলা নং ৩৫। এছাড়াও জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযান চলাকালীন সময়ে পৃথক-পৃথক স্থানে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ১২০বস্তা ভারতীয় চিনি ১৭ টি ভারতীয় মহিষ,৬’শ গ্রাম গাজা উদ্ধার করেন।যেহেতু উদ্ধারকৃত পণ সামগ্রী ভারতীয় চোরাই পথে আসা তাই পণ্য সামগ্রীর কোন মালিক না পাওয়ায় জব্দ তালিকায় ৭টি জিডি আকারে রয়েছে। জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো:তাজুল ইসলাম পিপিএম-বলেন, সীমান্ত লাকায় মাকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালান প্রতিরোধে সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে কাজ যাচ্ছেন। মাদক সহ ভারতীয় চোরাচালান ব্যবসার সাথে জড়িত চোরাকারবারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। সেপ্টেম্বর মাসের গত ২২ দিনে আমরা বিপুল পরিমান ভারতীয় পণ সামগ্রী জব্দ করতে সক্ষম হয়েছি। এর মধ্যে রয়েছে ২৯৭পিছ ভারতীয় মোবাইলসেট, ৮ লক্ষ টাকা মূল্যের ভারতীয় ওষধ,৩২টি মহিষ,৩৪টি গরু, ৩২৮ বস্তা ভারতীয় চিনি,১১বোতল বিদেশী মদ,১৪ বস্তা ভারতীয় চা পাতা। ৬’শ গ্রাম গাজা জব্দকৃত পন্য সামগ্রীর আনমানিক বাজার মুল্য কোটি টাকার উপরে। জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের চোরাচালান বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কাজেই মাদকদ্রব নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালান প্রতিরোধে সংশ্লিস্ট এলাকার জনপ্রতিনিধি,সাংবাদিক,সুশীল সমাজের সহযোগিতা কামনা করছি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.