নুসরাতের বিরুদ্ধে ২৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ

টলিউড অভিনেত্রী ও তৃণমূলের সংসদ সদস্য নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে ২৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট- ইডির দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি কয়েকজন বয়স্ক নাগরিককে নিয়ে ইডির কাছে যান।

শঙ্কুদেবের অভিযোগ, বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে ফ্ল্যাট দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিয়েছিল নুসরাতের সংস্থা। কিন্তু ফ্ল্যাট মেলেনি। শঙ্কুদেব ইডির কাছে নথিপত্র জমা দিয়ে এসেছেন।

এ প্রসঙ্গে নুসরাত জাহান ওপার বাংলার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এখনই এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চান না। যেহেতু আইনগত ভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তাই নুসরাত তার আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে যথাসময়ে এই অভিযোগের উত্তর দেবেন।

শঙ্কুদেব ইডিকে জানিয়েছেন, গড়িয়াহাট রোডের একটি সংস্থার যৌথ ডিরেক্টর নুসরাত। সেই সংস্থা ২০১৪ সালে মোট ৪২৯ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা করে নেয়া হয়েছিল। পরিবর্তে প্রতিশ্রুতি ছিল, রাজারহাটে হিডকোর দপ্তরের কাছে তাদের প্রত্যেককে ৩ বিএইচকে ফ্ল্যাট দেয়া হবে। তিন বছরের মধ্যে ফ্ল্যাট দেয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু এখনো তা মেলেনি।

শঙ্কুদেবের সঙ্গে যে নাগরিকরা গিয়েছিলেন তারা ইডিকে জানিয়েছেন, নুসরাতের সঙ্গে ওই সংস্থার যৌথ ডিরেক্টর রাকেশ সিং নামের এক ব্যক্তি। ফ্ল্যাট পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি তিনিই দিয়েছিলেন। প্রতারিতরা গড়িয়াহাট থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন বলেও দাবি করেছেন।

এ প্রসঙ্গে শঙ্কুদেব বলেন, ‘বসিরহাটের তৃণমূল সংসদ সদস্য নুসরাত একটি কোম্পানি তৈরি করে অবসরপ্রাপ্ত বয়স্ক লোকজনের কাছ থেকে ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা করে নিয়েছিলেন। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন। ফ্ল্যাট তো দেনইনি। উল্টো সেই টাকা দিয়ে নিজেরা পাম অ্যাভিনিউতে একটি ফ্ল্যাট বানিয়েছেন।

শঙ্কুদেবের দাবি, ‘প্রতারিতেরা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। তাদের আদালতে যেতে হয়েছে। সেখানে নুসরাতের বিরুদ্ধে সমন পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি আদালতে যাননি।’

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমরা সমস্ত নথিপত্র নিয়ে ইডির অফিসে গিয়ে গতকাল (সোমবার) অভিযোগ জানিয়েছি। নুসরাতের লোকজন ওই সংস্থার মাধ্যমে টাকা তুলছে। অবিলম্বে এটা আটকানো দরকার। কিন্তু পুলিশ কিছু করছে না।’

ইডি নিষ্ক্রিয় থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন শঙ্কুদেব। অবিলম্বে নুসরাতকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

শঙ্কুদেবের অভিযোগকে অবশ্য তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল। রাজ্যসভার সংসদ সদস্য শান্তনু সেন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ইডি কি আদৌ নিরপেক্ষ? সিবিআই বা ইডি বিজেপির শাখা সংগঠনে পরিণত হয়েছে। বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলোতে এদের ব্যবহার করা হচ্ছে।’

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.