- বান্দরবানে কয়েকশত কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তির মালিক হেডম্যান মংথোয়াই চিং - September 20, 2024
- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
ধনবাড়ী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে সেনাবাহিনীতে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ধনবাড়ীর মুশুদ্দি ইউনিয়নের সয়া গ্রামের মৃত নূর খাঁর ছেলে মো. আ. জলিল খাঁ (৫০) এর বিরুদ্ধে। প্রতিকার চেয়ে গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
ভুক্তভোগী গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের সয়া গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্ত মো. আ. জলিল খাঁ (৫০) ধনবাড়ীর মুশুদ্দি ইউনিয়নের সয়া গ্রামের মৃত নূর খাঁর ছেলে।
দায়ের করা অভিযোগ ও ভুক্তভোগীর পক্ষে মো. সাগর মিয়া বলেন, জলিল খাঁর বাড়ি কৃষিমন্ত্রীর ইউনিয়নে। এ সুবাদে মন্ত্রীর স্বজনদের নাম ভাঙিয়ে সে চার লাখ টাকায় কৃষি অধিদপ্তরে অফিস সহকারী পদে চাকরি দেবে বলে অগ্রিম ৭০ হাজার টাকা নেন। ছোট ভাই রাজুকে ভুয়া অফিসারদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা নেন জলিল। সেখানে চাকরি দিতে ব্যর্থ হয়ে পরে সেনাবাহিনীতে পাম্প অপারেটর পদে অফ-লাইনে সাত দিনের মধ্যে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং সাত লাখ টাকা দাবি করেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সাড়ে তিন লাখ টাকা তাকে দিয়ে গোপনে ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়। রাজুকে নিয়ে ঢাকার একটি বাসায় পরীক্ষা দেওয়ায় জলিল। দুদিন পর সেনাবাহিনীর সিভিল সার্ভিস ঢাকা সেনানিবাসের স্মারক নং দিয়ে একটি নিয়োগপত্র দেন। এটি নিয়ে কর্মস্থলে যোগদান করতে গেলে সেখান থেকে জানানো হয় এটি ভুয়া। বিষয়টি জলিলকে জানানো হলে রাজুকে ঢাকায় নিয়ে একটি বাসায় জিম্মি করে রাখেন। পরে বাসার মালিকের সহায়তায় সে পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে। জলিলের কর্মকান্ড- এলাকাবাসীকে জানালে আমার পুরো পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে প্রতারক জলিল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসলাম হোসাইন বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়ে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে মো. আ. জলিল খাঁ বলেন, তাকে সঠিক নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই ছেলে যোগদান করেনি। তার পরিবারকে কিছু টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.