ইসলামপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার ইসলামপুর সদর ইউনিয়নের পঁচাবহলা আলই পূর্বপাড়া গ্রামে I বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

 

জানা গেছে, জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার ইসলামপুর সদর ইউনিয়নের পঁচাবহলা আলই পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত তমেজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ আশরাফুল ইসলামের সাথে একই গ্রামের মোঃ সমেজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ মনোয়ার হোসেন গংদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।

 

মনোয়ার হোসেন গং আশরাফুল ইসলামকে বিভিন্নভাবে ক্ষয়ক্ষতিসহ মাইরপিট করার হুমকি দিয়ে আসতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে ১৬ জানুয়ারি সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটায় মনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে তার ছেলে রমজান আলী, তার ভাই খোকা, তার স্ত্রী স্বপ্না বেগম, মৃত জাফর মন্ডলের ছেলে মিষ্টার আলী পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দা, লোহার রড ও লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে পরষ্পর যোগসাজশে আশরাফুল ইসলামের বসত বাড়ির ভিতর আঙ্গিনায় অনধিকার প্রবেশ করে তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী স্বপ্না বেগমকে আক্রমণ করে তার মাথায় দা দিয়ে কোপ মারলে তা হাত দিয়ে প্রতিহত করতে গেলে তার বাম হাতে গুরুতর রক্তাক্ত কাটাজখম হয়।

 

এসময় তার কাপড়চোপর টানাহ্যাঁচড়া করে ছিঁড়ে ফেলে শ্লীলতাহানী ঘটায় এবং তার গলায় থাকা আট আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এদিকে হামলার সংবাদ পেয়ে বাড়িতে গেলে সন্ত্রাসীরা আশরাফুল ইসলামের উপরও হামলা করে তাকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে।

 

এবং আশরাফুল ইসলামের ছোটভাই ওয়াহেদুজ্জামানের ওপর চড়াও হয় এবং তার বসতঘরে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে ঘরের টিনের ব্যাড়া ও ঘরের আসবাবপত্রের ক্ষতি সাধন করে। এসময় তাদের ডাকচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাদের সুযোগমত খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। তখন স্বপ্না বেগম ও তার স্বামী ওয়াহেদুজ্জামানকে চিকিৎসার জন্য ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বপ্না বেগমকে ভর্তি করে এবং ওয়াহেদুজ্জামানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়।

 

এ ঘটনায় ইসলামপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অপরদিকে হামলাকারীর নেতা মোঃ মনোয়ারের স্ত্রী স্বপ্না বেগম কাঁচি দিয়ে নিজের হাত নিজে কেটে আশরাফুল ইসলামদের নামে মিথ্যা মামলা করার পাঁয়তারা করছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী এক বালক তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে জবানবন্দী দিয়েছে।

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.