গরুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ

 

রেজাউল ইসলাম মাসুদ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইজারাদারদের বিরুদ্ধে।

রবিবার ৩ই জুলাই সরেজমিন ওই হাটে গিয়ে দেখা যায়, গড়েয়ার চন্ডীপুর গ্রাম থেকে গরু কিনতে এসেছেন মাসুদ হোসেন। গরু না কিনেই তিনি বাড়ি ফিরছিলেন।

এ সময় তার সঙ্গে কথা হলে মাসুদ জানান, হাটে গরুর দাম নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু খাজনা নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে। গরু প্রতি সরকারি রেট ২৩০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও আদায় করা হচ্ছে ৫০০ টাকা। গরু প্রতি ২৭০ টাকা বেশি আদায় করা হচ্ছে, যা হাটের ছাড়ে উল্লেখ করা হচ্ছেনা। এ অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাড় লেখক কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি জানান তিনি।

মাসুদ হোসেন আরো জানান, ছাগলের ক্ষেত্রেও একইভাবে বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে। ছাগলের জন্য ৯০ টাকা খাজনা নির্ধারত থাকলেও প্রতিটি ছাগলের জন্য নেওয়া হচ্ছে ১৫০ টাকা।

মাসুদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেল কিছুক্ষণ পরেই। হাটের প্রবেশ দ্বারে টেবিলে খাতা-কলম নিয়ে বিক্রি হওয়া গরু-ছাগলের ছাড় লেখার কাজ করছিলেন এক যুবক।

সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তার নাম জানতে চাইলে একটু বিচলিত হন তিনি। পরে বলেন, কী উপকার করতে পারি, বলেন।

গরুর খাজনা লিখতে বললে তিনি মুখে বলে দেন যে এইটা লেখার নিয়ম নাই , আপনি , লেখানী ৪০০ টাকা আর বিক্রেতার চাঁদা ১০০ সহ মোট ৫০০ টাকা আদায় করছেন কেন?- জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না শর্তে তিনি বলেন, আমি তো শুধু ছাড় লেখকের কাজ করি। বিনিময়ে কিছু টাকা পাই। এটি হাট কর্তৃপক্ষের নির্দেশে করা হয়।

অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়ে নারায়ণ বাবুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন আপনি, আক্তারের সাথে কথা বলেন আমি প্রতিদিন হাটে থাকিনা সব কিছু সে দেখে।

পরে আক্তারুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন , হাটের ডাক তুলনামূলক বেশি হওয়ায় বাড়তি টাকা আদায় করতে হচ্ছে। খাজনা আদায় বইয়ে টাকার পরিমাণ উল্লেখ নেই কেন প্রশ্ন করলে তিনি কোনো সউত্তর দিতে পারেননি। পরে তিনি আগামী সপ্তাহে দেখা করতে বলেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মোঃ শামসুজ্জামান বলেন, হাটে সরকার নির্ধারিত মূল্যেই খাজনা আদায় করতে হবে। অতিরিক্ত আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। শিগগিরই তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.