৫০ হাজার মানুষ বন্দি  সরিষাবাড়ীতে ৪০ গ্রাম প্লাবিত ১৪ টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ 

সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি
উজান থেকে নেমে আসা ঢল এবং প্রচন্ড বৃষ্টিতে যমুনা, ঝিনাই ও সুবর্ণখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জামালপুরের সরিষাবাড়ীর উপজেলার প্রায় ৪০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।   এ ছাড়াও উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে আছে।  প্রায় ৩’শ হেক্টর পাট, রোপা-আমন বীজতলা, মরিচ ও শাক সবজির ফসলী জমি তলিয়ে গেছে। ভারী বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৭ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে ১৪৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় টাকুরিয়া সপ্রাবি,চর জামিরা সপ্রাবি, বালিয়ামেন্দা প্রকাশ মির কুটিয়া সপ্রাবি,দক্ষিণ নলসোন্দা সপ্রাবি, ডাকাতিয়ামেন্দা সপ্রাবি,পশ্চিম নলসোন্দা, চর হরিপুর দক্ষিণপাড়া সপ্রাবি, ঘুইঞ্চা রাবেয়া সপ্রাবি,পশ্চিম মীর কুটিয়া সপ্রাবি, মানিকপটল সপ্রাবি, দক্ষিণ মালিপাড়া সপ্রাবি, চর আদ্রা সপ্রাবি, শিশুয়া বাঘমারা সপ্রাবি, মালিপাড়া সপ্রাবি শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাহিদা ইয়াসমিন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বন্যাকবলিত সাতপোয়া, ভাটারা, কামরাবাদ, আওনা ও পিংনা ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করায় পাট ২’শ হেক্টর, আউস ধান ২৫ হেক্টর, রোপা আমন বীজতলা ১০ হেক্টর, শাক সবজী ২৫ হেক্টর ও মরিচ ৫ হেক্টর আবাদি ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। উপজেলার ৪০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।আর কিছু জায়গায় বৈদ্যুতিক খুটিও পড়ে গিয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০০৩ ইং সালে ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের ধানাটা-জামিরা রাস্তায় ঝিনাই নদীর ওপর শিশুয়া-বাঘমারা সেতু নির্মাণ করা হয়। গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে শিশুয়া-বাঘমারা ব্রীজের সংযোগ সড়ক ভাঙনের কবলে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাহিদা ইয়াসমিন জানান,এ পর্যন্ত ১৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠার কারণে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, বন্যার্তদের জন্য ৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১ লক্ষ টাকা সরকারী বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের জন্য সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আমরা সব সময় বন্যার্তদের পাশে থাকব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ত্রাণ এসেছে। ইতিমধ্যে পিংনায় ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.