বগুড়ায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ, চাঁদা দাবি

বগুড়ার ধুনটে প্রেমে সাড়া না পেয়ে প্রবাসির মেয়ে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধরালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণ করেছে এক বখাটে। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের সময় বখাটের তিন বন্ধু মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ ও অশ্লিল ছবি তুলে রাখে। সেই ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে স্কুলছাত্রীর মায়ের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছে তারা।

এ ঘটনায় রবিবার (২৩ মে) ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাঙ্গামাটি গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে রিমন ফকির (২২) এলাকার চিহ্নিত বখাটে। পার্শ্ববতী হাসাপোটল গ্রামের এক প্রবাসির মেয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীর প্রতি কুদৃষ্টি পড়ে রিমনের।

স্কুলছাত্রীকে প্রায়ই প্রেম প্রস্তাব দেয় রিমন। কিন্তু প্রেমে সাড়া দেয়নি স্কুলছাত্রী। এ অবস্থায় ১৮ এপ্রিল দুপুরে ওই স্কুলছাত্রী বাড়ির পাশে মসজিদে কোরআন শিক্ষা শেষে বাবার বাড়ির দিকে রওনা হয়। এ সময় পথিমধ্য থেকে স্কুলছাত্রীকে কৌশলে নিজের বাড়িতে ডেকে নেয় রিমন।

এক পর্যায়ে নিজের শয়ন কক্ষের ভেতর নিয়ে গলায় চাকু ধরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে রিমন। ধর্ষণের সময় রিমনের তিন বন্ধু ওই ঘরের জানালা দিয়ে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ছবি তোলে এবং ভিডিও ধারণ করে। ধর্ষণ শেষে ওই ঘটনা কাউকে জানালে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখানো হয় মেয়েটিকে।

ভয়ে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি ঘটনা গোপন রাখে। এ অবস্থায় ৬ মে রাতে বখাটেরা স্কুলছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে মোবইল ফোনে ধর্ষণের দৃশ্য দেখাইয়া স্কুলছাত্রীর মায়ের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না পেলে তারা ধর্ষণের ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদি হয়ে ১১ মে বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় বখাটে রিমন ফকির ও তার তিন বন্ধুকে আসামী করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিয়েছে।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের আদেশে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে। এ মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.