সিলিন্ডার বিস্ফোরন ; ডান পা বিচ্ছিন্ন হওয়া বেলুন বিক্রেতার মৃত্যু

পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া উপজেলার তেতুলতলা চৌরাস্তা এলাকায় বেলুনে গ্যাস ভর্তির সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরনের ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত বেলুন বিক্রেতা ইউনুস আলী (৩৮)। তার বাড়ি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় । সে ওই এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে আটটার দিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজের জরুরী বিভাগ সুত্রে জানা যায় ইউনুস আলীকে অচেতন অবস্থায় জরুরী বিভাগে আনা হলে তার আল্ট্রাসনোগ্রাম টেস্ট করানোর পর তাকে মৃত ঘোষনা করে। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান রংপুর মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার পূর্বেই ওই বেলুন বিক্রেতার মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে তেতুঁলিয়া ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায় বেলুন বিক্রেতা ইউনুস আলী সহ বিভিন্ন জেলার ছয় জন বেলুন বিক্রেতা গত মঙ্গলবার থেকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার আব্দুর রহিমের দোকানঘর ভাড়া দিয়ে থাকতেন। সেখান থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হেঁটে হেঁটে বেলুন বিক্রি করতেন তারা। শনিবার দুপুরে সিলিন্ডার থেকে বেলুনে গ্যাস ভরার সময় হঠাৎ বিকট শব্দে সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়। এ সময় চার বেলুন বিক্রেতা ও স্থানীয় এক কিশোর মারাত্মকভাবে আহত হন। এসময় ইউনুস আলীর ডান পায়ের অর্ধেক বিস্ফোরণে উড়ে যায়। আহত বাকি চারজনের শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গেছে। চোখেও মারাত্মকভাবে আঘাত পেয়েছেন কেউ কেউ। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতা পুলিশ ও তেঁতুলিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে সেখানে আশঙ্কাজনক হলেও পরিবারের কেউ না থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে নিয়ে যেতে দেখা দেয় জটিলতা। পরে গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর হাসপাতালে ছুটে আসেন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিন। জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলাউদ্দীনের তত্ত্বাবধানে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পঞ্চগড় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বেলুনে গ্যাস ভর্তি করার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫ জন আহত হয়েছে। আহত রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুর্ঘটনার কারণ আমার খতিয়ে দেখছি।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.