পাখির সাথে বন্ধুত্ব…

পশ্চিমা বিশ্বের অনেক শিশুরই প্রিয় বন্ধুর তালিকায় কুকুর সবার উপরে। কিন্তু নয় বছরের নোহা ব্লুমের প্রিয় বন্ধু একটি ম্যাগপাই পাখি। হাজার বছরের চর্চার ফলে কুকুর ও বিড়াল মানব সমাজে বাস করতে পারে। কারণ, তারা বুঝে গেছে মানুষের সাথে বসবাস করতে গেলে কেমন হতে হবে। তাই পোষ মানানোর জন্য এ দুই প্রজাতির প্রাণিই উৎকৃষ্ট। কিন্তু কোনো বন্য প্রাণী সাধারণত পোষ মানে না। কিংবা বন্ধুর মতো আচরণও করে না। কিন্তু একটি বন্য ম্যাগপাই অদ্ভুতরূপে ব্লুম পরিবারের অংশ হয়ে গেল।

এক ঝড়ো রাতের পরের দিন নোহা আহত ম্যাগপাইটিকে দেখতে পায়। সে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। নোহা’র বাবার এক বন্ধু শহরের পশু চিকিৎসক। তার চিকিৎসা ও পরামর্শতো যত্নআত্তিতে সুস্থ হয়ে ওঠে পাখিটি। নোহা তার নাম দেয়, পেঙ্গুইন। ম্যাগপাইটির ‘পেঙ্গুইন’ নামকরণের কারণ সম্পর্কে নোহা’র বাবা বলেন, ‘এমন নামকরণ করা হয়েছে। কারণ, পাখিটির সাথে আর্কটিক অঞ্চলের জীবদের অদ্ভুত মিল রয়েছে’।

অনেকেই মনে করেন, কুকুর কিংবা বিড়ালের মতো পাখি হুটোপুটি-জড়াজড়ি পছন্দ করে না। পেঙ্গুইনও এর ব্যতিক্রম নয়। নোহা’র বাবা ঠাট্টা করে বলেন, ‘পেঙ্গুইন নিজেকে মানুষ ভাবতে শুরু করেছে। কোন টিভি সিরিজ তার পছন্দ, সেটা নিয়েও আমাদের ভাবতে হয়’। তিনি আরো বলেন, ‘বাড়ির চারপাশে উড়ে উড়ে সে গান গায়। কখনো মাথার ওপর ওড়ে। আবার কখনো কাঁধে বসে কানে ঠোকর দেয়’। পেঙ্গুইন টুথপেস্ট পছন্দ করে। তার বন্ধু ছোট্ট নোহা যখন দাঁত ব্রাশ করে, তখন সে তার মুখের ভেতর ঠোঁট দিয়ে টুথপেস্ট বের করে। কিন্তু সে আর কুলি করতে পারে না।

নোহা’র বাবা মি. ব্লুম জানান, ‘বাচ্চারা যখন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরে, পেঙ্গুইন উত্তেজনায় তার পাখা ঝাঁপটায়। আর সে সকলের সাথে খেতে পছন্দ করে’। তিনি আরো জানান, ‘এই ছোট্ট পাখিটি আমাদের জীবনে এক অনন্য সাধারণ খুশি বয়ে এনেছে’। -সূত্র: ওয়ানগ্রিনপ্লানেট।

সম্পাদনা: তাহমিনা শাম্মী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.