- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
- যমুনা সারকারখানা চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী - September 18, 2024
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সন্তান প্রসবের সময় নবজাতকের পা ধরে টেনে ছিড়ে এনেছেন এক মোমেনা নামে এক আয়া। এসময় শিশুর মাথা থেকে যায় মায়ের পেটের মধ্যে। শনিবার রাতে আন্না (২৫) নামে এক গৃহবধূর সন্তান প্রসবের সময় এ ঘটনাটি ঘটে।
স্বজনদের অভিযোগ, সন্তান প্রসবের সময় সেখানে দায়িত্বরত সেবিকা ও চিকিৎসক কেউ উপস্থিত ছিলেন না। ঘটনার পর ওই আয়া ওয়ার্ড থেকে পালিয়ে যান। কর্তৃপক্ষ বলছেন, গর্ভের নবজাতক মৃত অবস্থায় ছিলো।
যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার গাজীপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর স্ত্রী আন্না বেগমকে শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে প্রসব কালিন ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালে ওয়ার্ড ডা. তানজিলা আখতার একবার রোগীকে দেখে আল্ট্রাসনো করতে বলেন। আল্ট্রাসনো রিপোর্টে ২০ সপ্তাহের বাচ্চার উপস্থিতি মেলে। তার ওজন ছিলো ৩৩৯ গ্রাম। চিকিৎসকের পরামর্শে জরায়ুর মুখ খোলার ওষুধ দেয়া হয়। যাতে করে মৃত বাচ্চাটি নরমালে প্রসব হয়। শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আন্নার গর্ভে থাকা ছেলের দুই পা বেরিয়ে আসলে ওই ওয়ার্ডে দায়িত্বরত আয়া মোমেনা রোগী আন্নাকে ওটিতে নিয়ে যান। চিকিৎসক সেবিকার অনুপস্থিতিতে আয়া মোমেনা নবজাতকের দুই পা ধরে টানাটানি করার সময় গলা থেকে ছিড়ে চলে আসে। বাকী অংশ অর্থাৎ মাথা গৃহবধূর পেটের মধ্যে থেকে যায়। এরপর রোগীকে ফেলে ভয়ে তিনি পালিয়ে যান। রোগীর চিৎকারে স্বজনরা গিয়ে এই অবস্থা দেখে চেচামেচি শুরু করেন। তখন সেবিকারা গিয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য জানান। আয়ার কান্ডে বাক শক্তি হারিয়ে ফেলেন আন্না ও তার পরিবারের লোকজন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আরিফ আহমেদ জানান, আয়ার বাড়াবাড়িতে এমনটা হয়েছে। চিকিৎসক সেবিকার অনুপস্থিতিতে তিনি এই কাজ করতে পারেন না। তিনি আরো জানান, গৃহবধূর পেটে নবজাতকটি আগেই মারা গিয়েছিলো। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.