- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
- যমুনা সারকারখানা চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী - September 18, 2024
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। মার্কিন পপ গায়ক নিক জোনাসের সঙ্গে ভালোবেসে ঘর বেঁধেছেন তিনি। নিককে বিয়ে এবং অতীতের সম্পর্ক নিয়ে বহুবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন। গত ৯ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে প্রিয়াঙ্কার আত্মজীবনী ‘আনফিনিশড’ বইটি। প্রিয়াঙ্কা তার জীবনের প্রথম প্রেম, প্রথম চুম্বনের বিষয়টি এই বইয়ে উল্লেখ করেছেন।
পড়াশোনার উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন কিশোরী প্রিয়াংকা চোপড়া। সিডার র্যাপিডস শহরে পড়াশোনা করেন তিনি। পরে সেখানে থেকে চলে যান ইন্ডিয়ানাপলিসে। এই শহরের নর্থ সেন্ট্রাল হাই স্কুলে ভর্তি হন প্রিয়াংকা। তিনি যখন নাইন গ্রেডের শিক্ষার্থী তখন তারই স্কুলের টেনথ গ্রেডের এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান এই অভিনেত্রী। বইটিতে প্রিয়াংকা তার নাম বব (ছদ্মনাল) উল্লেখ করে লিখেছেন- ‘বব ভার্সিটি ফুটবল খেলতো, আবার দারুণ রেজাল্ট করেছিল।’
স্কুলে প্রিয়াংকার ক্লাস রুমের সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মুখ দিয়ে নানারকম মজার অঙ্গভঙ্গি করতেন বব। একদিন বব তার গলা থেকে সোনার চেইন খুলে প্রিয়াংকাকে পরিয়ে দেন। বিষয়টি স্মরণ করে নায়িকা লিখেছেন-‘এটি বিস্ময়কর একটি মুহূর্ত ছিল। আমার মনে হয়েছিল আমি বিয়ে করলাম।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রিয়াংকা তার কিরণ মাসির সঙ্গে থাকতেন। প্রেমের বিষয়ে তিনি খুব কঠোর ছিলেন। স্কুলের ক্লাস শেষ হওয়ার পর প্রিয়াংকা-বব যখন বাড়ি ফিরে যেতেন, তখন তারা পরস্পরকে খুব মিস করতেন। এজন্য ববকে পরামর্শ দিয়ে প্রিয়াংকা বলেন, ‘তুমি তোমার বোনকে আমাদের ল্যান্ডফোনে ফোন করতে বলবে। আর কিরণ মাসি ফোন রিসিভ করার পর স্কুলের বান্ধবী ভেবে আমাকে দিয়ে দেবে।’ এভাবে কয়েকদিন কথা হওয়ার পর প্রিয়াংকার মাসি তাকে সন্দেহ করেন। বিষয়টি জানিয়ে এ অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘একদিন আমি কথা বলছি, আর চুপি চুপি ল্যান্ড লাইনের অন্য একটি এক্সটেনশন তুলে নেন কিরণ মাসি। বিষয়টি আমি বুঝে ফেলায় যথাসময়ে কথা শেষ করে লাইন কেটে দিই।’
একবার মাসি বাড়ি না থাকায় ববকে বাড়িতে ডেকে আনেন প্রিয়াংকা। তারা দু’জন হাতে হাত রেখে বসে টিভি দেখছিলেন। টিভিতে বাজছিল ‘আই উইল মেক লাভ টু ইউ’ গানটি। সে সময়ের স্মৃতি মনে করে প্রিয়াংকা লিখেছেন—‘বব আমার দিকে ঝুঁকে এলো। আমি তার দিকে তাকালাম। ভাবছিলাম এটাই কী সেই বিস্মিত মুহূর্ত তৈরি হতে যাচ্ছে, আমার প্রথম চুম্বন।’ দুঃখজনক ব্যপার হলো, চুমু খাওয়ার আগেই প্রিয়াংকা তার মাসির বাড়ি ফিরে আসার পায়ের শব্দ শুনতে পান। এতে সে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। কোনো উপায় না দেখে দ্রুত ববকে আলমারিতে লুকিয়ে ফেলেন। এরপর প্রিয়াংকা তার কিরণ মাসিকে দিয়ে দোকান থেকে কিছু আনানোর সিদ্ধান্ত নেন, যাতে এই ফাঁকে বব চলে যেতে পারেন। কিন্তু তাতে তিনি ব্যর্থ হন।
কিরণ মাসি তার ঘরে প্রবেশ করেন। প্রিয়াংকা তার বিছানায় বসে বায়োলজি বইটি খুলে পড়ায় মনোযোগী হন। এদিকে তার মাসি এসে প্রিয়াংকাকে আলমারি খুলতে বলেন। কিন্তু সে না খোলার অজুহাত দেখিয়েছে জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আমার হাত-পা এমনভাবে কাঁপছিল যে ঠিকমতো দাঁড়িয়ে আলমারির দিকেও যেতে পারছিলাম না। তারপর বাধ্য হয়ে আলমারির দরজা খুলি, বব সেখান থেকে বেরিয়ে আসে। তারপর মাসি এতটাই রেগেছিলেন যে, এমনটা আমি কোনোদিন দেখিনি।’
ভারতে তখন মধ্যরাত। সে সময়ই প্রিয়াংকার মা’কে ফোন দেন কিরণ মাসি। ঘটনা শুনে প্রিয়াংকার ওপর তার মা রাগ করেছিলেন। কিন্তু সেটা ওই ছেলের সঙ্গে প্রেম করার কারণে নয়, বরং ধরা পড়ার কারণে। তবে মধু চোপড়ার আচরণে খুশি হতে পারেননি তার বোন কিরণ। তারপর তিনি প্রিয়াংকাকে ম্যাসাচুসেট্সে তার মামার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু এতে ববের প্রতি তার অনুভূতির কোনও পরিবর্তন হয় না এবং তারা চিঠি ও ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ বজায় রাখেন। কিন্তু বিধি বাম, প্রিয়াংকা তার মামার কম্পিউটার ব্যবহার করে ই-মেইল পাঠিয়ে আবার ধরা পড়েন।
ববের প্রতি প্রিয়াংকার ভালোবাসা গভীর থাকলেও তার সঙ্গে প্রতারণা করেন বব। বিষয়টি উল্লেখ করে প্রিয়াংকা লিখেছেন, ‘এক সময় গিয়ে দেখি বব আমার সবচেয়ে কাছের বান্ধবীর সঙ্গে প্রেম করছে। এরপর সম্পর্কের ইতি টানি। সত্যিকারের ভালোবাসায় এটা মেনে নেওয়া যায় না। বিদায় বব।’
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.