এক সেতুর জন্য দুর্ভোগে ১২ গ্রামের লাখো মানুষ

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার রাধাগঞ্জে আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর সেতু না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ১২টি গ্রামের লাখো মানুষ। সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকো ও বর্ষা মৌসুমে নৌকায় পারাপার হতে গিয়ে ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এসব দুর্ভোগ লাগবে স্থানীয় ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করে এলেও আজও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না।

উপজেলার আদিয়াবাদ ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা শিবপুরের যোশর ও বাঘাব ইউনিয়নের ১২টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের অন্যতম ঠিকানা রাধাগঞ্জ বাজার। সপ্তাহে দুই দিন এই হাটে আগমন হয় প্রায় লক্ষাধিক মানুষের। আর এই হাটে যেতে হলে নয়াচর, যোশর ও বাঘাব ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ৪২০ মিটার লম্বা এই বাঁশের সাঁকো।

আবার বর্ষা মৌসুমে নদে পানি বেড়ে গেলে পারাপার হতে হয় নৌকাযোগে। রাধাগঞ্জ বাজারস্থ সরকারি ঘাট থেকে নৌকা ও বাঁশের সাঁকো পারাপার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। জরুরি রোগী হাসপাতালে নেওয়া, বাজারে মালামাল আনা-নেওয়াসহ স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত পোহাতে হয় নানা দুর্ভোগ। দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ লাগবে স্থানীয় ব্যক্তিরা এখানে সেতু নির্মাণের দাবি জানালে জনপ্রতিনিধি ও কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের পরও সেতু নির্মাণ হচ্ছে না।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘ বছর ধরে সেতু হবে-হচ্ছে এমন কথা শুনে আসতেছি। এখনো কেন বাস্তবায়িত হচ্ছে না, তা জানা নেই।
৬৫ বছর বয়সী জমির মিয়া জানান, সংগ্রামের পরপরই আমরা স্বপ্ন দেখে আসছি এখানে একটা সেতু হবে। কিন্তু প্রায় ৪০ বছর পার হওয়ার পরও বাস্তবায়িত হচ্ছে না।

কথা হয় আরিফ মৃধা নামের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তিনি বলেন, বাজারে মালামাল আনা-নেওয়ায় খুব কষ্ট। বর্ষাকালে নৌকা পাওয়া যায়। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে মাথায় করে বাঁশের সাঁকো দিয়েই পার হতে হয়। এমনও হয়, জিনিসপত্র নদীতে পড়ে গিয়ে নষ্ট হইছে। এখন আমাদের একটাই দাবি, যত দ্রুত সম্ভব এখানে একটি পাকা ব্রিজ যাতে নির্মাণ করা হয়।

সানোয়ার হোসেন নামের এক স্কুল শিক্ষক বলেন, এইপারের শিক্ষার্থীরা ওই পাড়ে গেলে এই বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা। প্রতিদিন প্রায় হাজার শিক্ষার্থী এখানে দিয়ে পারাপার করে। দুর্ঘটনাও ঘটে।

নরসিংদীর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মো. আবু জাকির সেকান্দার জানান, বুয়েট থেকে মাটি পরীক্ষা ও প্রাথমিক জরিপ কাজ শেষ হয়েছে। এটি বি ক্যাটাগরি সেতুর মধ্যে পরে। তাই বাস্তবায়ন করতে একটু সময় লাগছে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.