- বান্দরবানে কয়েকশত কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তির মালিক হেডম্যান মংথোয়াই চিং - September 20, 2024
- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে মাতৃত্ব একজন নারীর জীবন অনেকটা বদলে দেয়। কখনও কেরিয়ার, কখনও আর্থিক অবস্থা, আবার কখনও শারীরিক সমস্যার কারণে অনেকে বেশি বয়সে মা হওয়ার পরিকল্পনা করেন। কেরিয়ারে একটা জায়গার পৌঁছনোর পর অনেকে এই পৃথিবীতে নতুন প্রাণ নিয়ে আসার কথা ভাবেন। কারণ মা হওয়া মানে একটা দীর্ঘ সময়ের জন্য কেরিয়ারে উন্নতি থমকে যাওয়া। অনেক দম্পতি আবার একটা শিশুর দায়িত্ব নেওয়ার আগে মানসিকভাবে আরও একটু পরিণত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন।
কিন্তু মনে রাখবেন শারীরিক দিক থেকে বেশি বয়সে মা হওয়া কিন্তু একটা চ্যালেঞ্জ। কারণ এর ফলে আপনি আপনার বায়োলজিক্যাল ক্লকের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। ৩০ এর নারীদের শরীরে ডিম্বাণুর উৎপাদন কমে যায়। তাই যদি বেশি বয়সে মা হওয়ার কথা ভাবেন তাহলে আগেভাগেই একজন ফাটিলিটি স্পেশালিস্টের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া ভালো।
যেসব নারীদের অটোইমিউন ডিসঅর্ডার রয়েছে তারা দেরিতে মা হতে চাইলে এমব্রায়ো বা ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে রাখার কথা ভাবতে পারেন। কারণ অটোইমিউনিটি থাকলে ওভারিতে তার প্রভাব পড়তে পারে।
ক্যানসার বা হাইপারথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত নারীরাও এমব্রায়ো বা ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। কারণ এই সব রোগের চিকিৎসায় তাদের শরীরের স্বাভাবিক উৎপাদন ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই ধরনের অসুখ ধরা পড়লে চিকিৎসা শুরু করার আগেই ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে রাখুন।
মনে রাখবেন ৩৫ বছরের বেশি বয়সী মহিলারা প্রথমবার মা হতে গেলে কিন্তু নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার মধ্যে পড়তে হতে পারে। প্রেগন্যান্সির সময় ডায়াবেটিস বা হাইপারটেনশনে আক্রান্ত হতে পারেন তারা। এর প্রভাব গর্ভস্থ শিশুর ওপরেও পড়তে পারে।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুধু যে সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা হ্রাস পায় তাই নয়, পাশাপাশি সাধারণভাবে স্বাস্থ্যও খারাপ হতে থাকে। গর্ভবতী হওয়া থেকে নয় মাস তাকে গর্ভে ধারণ করা এবং সন্তানের জন্ম দেওয়ার এই সফরে একজন নারীকে যথেষ্ট সুস্থ সবল থাকতেই হয়। তাই দেরি করে মা হতে চাইলে নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখুন।
ফিট ও অ্যাক্টিভ লাইফস্টাইলের মধ্যে থাকার চেষ্টা করুন। বেশি বয়সে মা হলে যেমন জীবনের পথে নিজেকে আরও একটু গুছিয়ে নিতে পারবেন, তেমনই এই মাতৃত্বকে হাসিমুখে স্বাগত জানাতে শারীরিকভাবেও নিজেকে ফিট রাখুন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.