ফেসবুকে পরিচয়, অতঃপর ৩ বছর প্রেমের পর বিয়ে, বিয়ের স্বীকৃতি পেতে থানায় তরুণী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ঈমাম হোসেন ইমু (২২) সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় বরগুনার এক তরুণীর। সেই পরিচয় রূপ নেয় প্রেমে অতঃপর তিন বছর পর বিয়ে। কিন্তু ছয় মাস সংসার করার পর তাদের মধ্যে তৈরি হয় দূরত্ব। অবশেষে উপায় না পেয়ে বিয়ের স্বীকৃতির দাবিতে থানায় আশ্রয় নিয়েছেন এই তরুণী। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) হাতীবান্ধা থানায় সকালে ১০টা থেকে ওই তরুণী বিয়ের স্বীকৃতি চেয়ে অবস্থান নেয়। পরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

পুলিশ জানান, তিন বছর আগে ফেসবুকে বরগুনা সদর উপজেলা চর কলোনী এলাকার ওই তরুণীর সঙ্গে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলা টংভাঙ্গা এলাকার ইব্রাহিম হোসেন খলিফার ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ঈমাম হোসেন ইমুর (২২) পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর গত সেপ্টম্বর মাসে মেয়ের খালার বাড়ি বরিশালে তাদের বিয়ে হয়। ছয় মাস সংসার করার পর তাদের মাঝে দূরুত্ব সৃষ্টি হয়। পরে তরুণী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ওই তরুণীর জানান, বিয়ে করে আমরা ৫ মাস ধরে ঢাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার করি। দুই মাসপর পেটে বাচ্চা এলে ঈমাম হোসেন ইমু একটি ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে গর্ভপাত করান। এ সুযোগে আমাকে একা রেখে সে গ্রামে বাড়ি টংভাঙ্গায় পালিয়ে যান। তিনি আরও বলেন, স্বামীর সন্ধান না পেয়ে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা গ্রামে এসে ঈমাম হোসেন ইমু বাড়িতে উঠি। তার বাবা ইব্রাহিম হোসেন খলিফা ওই মেয়েকে বাড়িতে জায়গা না দিয়ে তার বড় ছেলের বাড়িতে রাখেন। এরপর আমাকে মারধর ও হত্যার হুমকিসহ অমানবিক নির্যাতন চালায় স্বামী ঈমামসহ তার পরিবারের লোকজন।

এসময় তারা আমার কাছে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা দিতে না পারলে নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঈমাম হোসেন কৌশলে বরগুনার বাড়িতে রেখে যান। তিনি আরও বলেন, আমার বিয়ে স্বীকৃতি চাই। আইনের কাছে বিচার চেয়ে থানায় আশ্রয় নিয়েছি।

হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.