নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বেওয়ারিশ কুকুরের ভয়ে আতঙ্কে ৯ইউনিয়নের মানুষ

নীলফামারী থেকে সামসুজ্জামান সুমন ঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৯ ইউনিয়নের হাট-বাজার থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি এলাকার রাস্ত-ঘাটে বেওয়ারিশ কুকুরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সকল ইউনিয়নের মানুষ। বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় নামলেই বেওয়ারিশ কুকুরের কোন অভাব নাই। হাট-বাজারে গ্রাম/মহল্লার অলিগলি ছোট বড় সড়কের মোর ও প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে দল বেদে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব বেওয়ারিশ কুকুর গুলো। কুকুরের কামড়ে বৃদ্ধা,শিশু,গরু,ছাগল,মোটরসাইকেলের গাড়ির চালক থেকে শুরু করে কেউ রেহাই পাচ্ছে না।

কিন্তু এ নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যথা ও স্থানীয় প্রশাসনের নেই বললেই চলে। উপজেলায় ঘুরে দেখা গেছে এমন কোন গ্রাম-মহল্লার বা হাট-বাজারে অলিগলি নাই যেখানে কোন বেওয়ারিশ কুকুর ঘুরছে না। কয়েকজন লোকের সাথে কথা হলে তারা বলেন সকাল হলে প্রত্যেকটি বাড়ির শিশুরা বাহির বের হয় খেলার জন্য। কিন্তু বর্তমানে বেওয়ারিশ কুকুরের যা প্রকোপ পড়েছে,বাচ্চাদের বাসা থেকে বাহিরে যেতে ভয় হয়। আর কত দিন বাচ্চাদের ঘরে বন্ধ করে রাখব। একদিন,হলে তারাতো বাহিরে বের হবেই। যেভাবে কুকুরগুলো গ্রাম-মহল্লা,হাট-বাজারে ঘুরাফেরা করছে কখন কোন দূর্ঘটনা ঘটবে বলা মুশকিল। জানাগেছে ছোট বড় সবাইকে কামড়াচ্ছে।

আর এমন করে কামড়ায় পায়ের মাংস তুলে নেয়। এমনকি কুকুরের ভয়ে গরু,ছাগল,মাঠে বাধা যায়না। এরা এমন হিংস্রভাবে আক্রমণ করে মানুষরা ভয়ে কুকুর পিটানোর জন্য কাছে যায়না। আর গ্রামাঞ্চলের সব বসতবাড়ি তো পাকা নয়।যেসব বাড়ির রান্নাঘর বাশের বেড়া দিয়ে তৈরী,সেই সব রান্নঘরের বেড়া ভেঙে ভাত,তরকারীর পাতিলসহ নিয়ে চলে যায়। দিনের পর দিন কুকুরের প্রভাব বেড়েই চলেছে। এভাবে চলতে থাকলে বাসা থেকে বের হওয়া যাবেনা।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.