- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
- যমুনা সারকারখানা চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী - September 18, 2024
এস.এম আব্দুর রাজ্জাক
আজ শুভ বড়দিন। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব আজ। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খ্রিস্টধর্মালম্বীরা উদযাপন করবে এ ধর্মীয় উৎসব। এই দিনে বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট। দিনটি তাই খ্রিষ্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হিসেবে সারা বিশ্বে পালিত হয়। বাংলাদেশেও এ ধর্মের অনুসারীরা ব্যাপক উৎসাহ ও নানা আয়োজনে উৎসবটি পালন করে। বাংলাদেশে আজ সরকারি ছুটির দিন।
যিশুখ্রিষ্টের জন্ম কবে হয়েছিল, তা নিয়ে মতভেদ আছে। তবে চতুর্থ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে পশ্চিমা চার্চ ২৫ ডিসেম্বর তার জন্মদিন পালন শুরু করে। পরে পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোতেও এই প্রথা চালু হয়। সময়ের দিক থেকে ২৫ ডিসেম্বর দিনটি বড় নয়, তবে বড় হিসেবে পরিচিত হয়েছে। যিশুখ্রিষ্ট এদিন জগতে আসার মধ্য দিয়ে ২৫ ডিসেম্বরকে মহৎ করেছেন বা ‘বড়’করেছেন। ‘বড়দিন’ তাই বিশ্বাস-ভালোবাসা ও ক্ষমার চেতনায় ‘বড়’ হওয়ার দিন বলে মনে করেন তার অনুসারীরা।
আজ সব খ্রিষ্টান পরিবারে ভালো খাবার রান্না হবে, বিশেষ করে কেক থাকবেই। ধর্মীয় গানের পাশাপাশি হবে প্রার্থনাসভাও। আজ খ্রিষ্টানদের কবরস্থানগুলোতে মোমবাতি জ্বালাবেন স্বজনরা। এদিনে কার্ড দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো, গির্জা ও বাড়ি সাজানো এবং প্রীতিভোজের আয়োজন করবেন তারা। আগের দিন রাতে শিশুরা সান্তাক্লজের কাছ থেকে পায় বিশেষ উপহার। ক্রিসমাস ট্রি সাজানো এ উৎসবের একটি বড় অনুষঙ্গ।
দিবসটি উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় সম্প্রদায় নেতা পৃথক বাণীতে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জায় বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। এসময় গির্জার ভেতরে রঙিন কাগজ, ফুল ও আলো দিয়ে সাজানো হয়। সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন জানায়, দিনটি সারা পৃথিবীর খ্রিস্ট বিশ্বাসীদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। এই দিনে তাঁরা আনন্দে মেতে উঠবেন। বাংলাদেশেও দিনটি যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পালন করা হবে। এ ব্যাপারে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হবে উপাসনাসহ নানা অনুষ্ঠান।
বড়দিন উপলক্ষে শুক্রবার সরকারি ছুটি। সরকারি-বেসরকারি রেডিও, টেলিভিশন ও সংবাদপত্রগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান ও প্রকাশনার মাধ্যমে দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.