- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
- যমুনা সারকারখানা চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী - September 18, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদন
ঝালকাঠির আদালত চত্বরে ধর্ষণ মামলার আসামির সঙ্গে নির্যাতিত তরুণীর বিয়ে হয়েছে। বিয়ের শর্তে ধর্ষণ মামলার আসামিকে জামিন দিয়েছেন অবকাশকালীন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শহিদুল্লাহ। আজ রোববার (২০ ডিসেম্বর) জামিন শুনানির নির্ধারিত দিনে আদালতে বাদী এবং আসামি উভয়পক্ষ উপস্থিত হলে আসামিপক্ষ বিয়ের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে সাড়া দেন বাদীপক্ষ। পরে জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহ বিয়ের শর্তে স্থায়ী জামিন দেন।
বর হলেন বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগাতি গ্রামের আনোয়ার সরদারের ছেলে নাঈম সরদার (২২), আর কনে হলেন ঝালকাঠির বালিঘোনা গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের মেয়ে আরজু আক্তার (১৮)। বিয়ের পর আসামি বর নাঈমের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক মো. শহিদুল্লাহ। নবদম্পতিকে মিষ্টি মুখ করান আদালতের কর্মচারীরা।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌসুলি আবদুল মান্নান রসুল বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ফয়সাল খান জানান, ঝালকাঠি সদর উপজেলার বালিঘোনা গ্রামের আরজু আক্তার গত ৮ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তাকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে বলে একটি নালিশী মামলা দায়ের করেন। বিচারক তাঁর অভিযোগ ঝালকাঠি থানায় এফআইআর হিসেবে রেকর্ডরে নির্দেশ দেন। ১২ নভেম্বর ঝালকাঠি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(১) ধারায় এফআইআর রেকর্ড হলে একমাত্র আসামি নাঈমের বাবা আনোয়ার হোসেন ছেলেকে ১৩ নভেম্বর ঝালকাঠি থানায় সোপর্দ করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই নাজমুজ্জামান আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেন। আদালত নাঈমের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। রবিবার অবকাশকালীন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামির জামিন শুনানীর সময় আসামি পক্ষ নির্যাতিত মেয়েটিকে বিবাহের আগ্রহ প্রকাশ করলে এবং নির্যাতিত পক্ষও প্রস্তাবে রাজি হলে বিচারক মো. শহিদুল্লাহ আদালত চত্বরেই ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিবাহের নির্দেশ দেন। আদালত চত্বরে আসামি, ভিকটিম ও উভয়পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আদালতে কাগজপত্র জমা দিলে শুনানী শেষে বিশ হাজার টাকা বন্ডে আসামির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। বর নাঈম পেশায় একজন ইলেক্টট্রিশিয়ান এবং কনে আরজু দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা পড়া করেছে।
২০১৯ সালের প্রথমদিকে তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় এবং প্রেম হয়। গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাত দশটায় আরজুদের বাড়ির পেছনের বাগানে মোবাইলে ডেকে এনে আরজুকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে নাঈম।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.