নারী নেত্রীদের হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো দোররা-হিল্লা বিয়ে

মোহনগঞ্জ প্রতিনিধি

দাম্পত্য কলহে স্ত্রীকে একটি তালাক নোটিশ পাঠান স্বামী আব্দুল আজিজ (৪৪)। পরে ভুল বুঝতে পেরে কোর্টে এফিডেভিট করে তা সংশোধন করেন। পরে আবারো কাজী দিয়ে পুনরায় বিয়ে করেন তিনি। এ বিষয়টিকে শরীয়া বিরোধী উল্লেখ করে শাস্তি হিসেবে স্বামীকে দোররা মারা ও স্ত্রীকে হিল্লা বিয়ে দেওয়া ফতোয়া দেন স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি। এ খবর স্থানীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির কাছে পৌঁছলে তারা গিয়ে এসব বন্ধ করেন। এ ঘটনা নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের পুকুরিয়া গ্রামে। সোমবার (৩০ নভেম্বর) সকালে নারী নেত্রী, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের হস্তক্ষেপে এসব বন্ধ করা হয়।

পুকুরিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজ জানান, ১৯৯৭ সালে শাহানা আক্তারকে (৩৫) বিয়ে করেন তিনি। ২০১২ সালে দাম্পত্য কলহের এক পর্যায়ে স্ত্রীকে তালাকের নোটিশ পাঠান। পরে ভূল বুঝতে পেরে কোর্টে এফিডেভিট করে তা সংশোধন করেন। ২০১৭ সালে আবারো কাজী দিয়ে পুনরায় বিয়ে করেন তিনি। সম্প্রতি এ বিষয়ে পুকুরিয়া জামে মসজিদে বসে হিল্লা বিয়ে ও দোররা মারার ফতোয়া দেওয়া হয়।

পুকুরিয় মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন জানান, কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও এলাকার মুরুব্বিদের সালিশে আব্দুল আজিজকে দোররা মারা ও তার স্ত্রীকে হিল্লা বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

তবে তা প্রতিরোধ করেন মোহনগঞ্জ নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আকিকুনেছা চৌধুরী বিউটি, নারী নেত্রী তাহমিনা ছাত্তার, ফাতেমা পারভিন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাসুম আহমেদ, সাংস্কৃতিক সংগঠন সূর্যমুখী থিয়েটারের প্রধান হাবিবুর রহমান হানিফসহ অন্যান্য সদস্যরা।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.