- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
- যমুনা সারকারখানা চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী - September 18, 2024
কুষ্টিয়ার প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক স্কুলছাত্রী। সোমবার (৩০ নভেম্বর) সকালে উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের চর নিতাইল পাড়া এলাকার পূর্ব পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। স্কুলছাত্রী ওই উপজেলার শালঘর মধুয়া হাজী আছিয়া খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
আত্মহত্যার আগে চিরকুটে প্রেমিকের বিচার চেয়ে ওই ছাত্রী লিখেছে, ‘আমার পেটে জীবনের বাচ্চা। আমি তো বেঁচে থাকতে ওর বিচার করতে পারলাম না। মরার পরে যেন কঠোর বিচার হয়।’
জানা গেছে, বছর খানেক আগে একই এলাকায় জহুরুল হাজীর কলেজ পড়ুয়া ছেলে জীবনের সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেম হয়। এক পর্যায়ে তারা শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। দুই মাস আগে ছাত্রীটি বুঝতে পারে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এরপর বিয়ের জন্য জীবনকে বারবার চাপ দিতে থাকে। শনিবার জীবনের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাগ গুছিয়ে রাখে সে। কিন্তু জীবন পালাতে রাজি না হওয়ায় রোববার সন্ধ্যায় জীবনের বাড়িতে ছুটে যায়। ওই সময় তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় জীবনের মা-বাবা-বোন। এরপর ওই ছাত্রী বাঁশগ্রাম পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে জীবন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে। পুলিশ বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়ে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়। সোমবার সকালে চিরকুটে প্রেমিক ও সন্তানের কথা জানিয়ে নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী।
নিহতের মা বলেন, আমার মেয়ে এতিম। অনেক কষ্টে ওকে বড় করেছি। ওর সঙ্গে যারা খারাপ কিছু করেছে তাদের কঠোর বিচার চাই।
বাঁশগ্রাম পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম বলেন, মেয়েটি ক্যাম্পে এসে জীবন নামে ওই ছেলের সঙ্গে প্রেমের কথা জানিয়ে বলে ‘আমি বাড়ি গেলে পরিবারের লোকজন মারবে।’ এ কথা শুনে আমরা বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি।
কুমারখালী থানার ওসি মজিবুর রহমান জানান, তদন্তের স্বার্থে চিরকুটসহ একটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত জীবন ও তার পরিবারের সবাই পলাতক।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.