- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
- যমুনা সারকারখানা চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী - September 18, 2024
সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে ধর্ষণের ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট পেয়েছে পুলিশ। রিপোর্টে ৪ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। অন্যরা ধর্ষণে সহযোগিতা করেছে বলে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট পাওয়ার পর পুলিশ মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্লাহ এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এই মামলার তদন্ত অনেকটা শেষের পথে। সব আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। এখন ডিএনএ টেস্টের রিপোর্টও পাওয়া গেছে। কয়েকদিনের মধ্যেই অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এমসি কলেজের প্রধান ফটক থেকে স্বামী-স্ত্রীকে জোরপূর্বক কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নেয়া হয়। সেখানে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। স্বামী বাদী হয়ে এসএমপির শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর অল্প সময়ের মধ্যেই আসামি সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম তারেক, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান মাসুম, মিসবাউর রহমান রাজন ও আইনুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরা সিলেটের টিলাগড়কেন্দ্রীক ছাত্রলীগের রনজিত গ্রুপের সক্রিয় কর্মী।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য জানান, গ্রেপ্তারের পর আট আসামিকেই পর্যায়ক্রমে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিমান্ড শেষে প্রত্যেক আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।
জবানবন্দীতে সাইফুর, তারেক, রনি ও অর্জুন লস্কর ধর্ষণের কথা স্বীকার করে এবং অন্যরা সহায়তা করেছিল বলে জানায়। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় আসামিদের ডিএনএ সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এর প্রায় ২ মাস পর ডিএনএ রিপোর্ট তদন্তকারী কর্মকর্তার হাতে এসে পৌঁছেছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও জানান, দ্রুত আসামি গ্রেপ্তার হওয়ায় তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ায় এখন কম সময়ের মধ্যেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।
দলবদ্ধ ধর্ষণ ঘটনার পর ওই রাতেই এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে প্রধান আসামি সাইফুরের কক্ষে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এসময় আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সাইফুরের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করেছে পুলিশ।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.