- বান্দরবানে কয়েকশত কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তির মালিক হেডম্যান মংথোয়াই চিং - September 20, 2024
- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
মো:সাইফুর ইসলাম
বলিউডে প্রথম ছবি ছিল ‘তেরা জাদু চল গ্যয়া’। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি কীর্তি রেড্ডির জাদু। কিছু ছবির পরেই বিনোদন দুনিয়া থেকে বিদায় নেন এই নায়িকা।
দীর্ঘদিন ভরতনাট্যমে প্রশিক্ষণ নেয়া কীর্তি অভিনয় জীবন শুরু করেন ১৯৯৬ সালে। প্রথম ছবি ছিল তেলুগু ভাষায় ‘গানশট’। চার বছর তামিল ও তেলুগু ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেন কীর্তি। তারপর সুযোগ আসে বলিউডে। ২০০০ সালে অভিষেক বচ্চনের বিপরীতে ‘তেরা জাদু চল গ্যয়া’ ছবি দিয়ে বলিউড অভিযান শুরু কীর্তির। তবে ছবিটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। অভিষেক-কীর্তি জুটি বা নায়িকা হিসেবে কীর্তি কিছুই জনপ্রিয় হয়নি দর্শকমহলে।
ব্যর্থতার পরেও কীর্তির কাছে সুযোগ আসা বন্ধ হয়নি। ২০০১সালে তিনি অভিনয় করেন ‘প্যায়ার ইশক অউর মহব্বত’ ছবিতে। এই ছবিতে তিনি স্ক্রিন শেয়ার করেন সুনীল শেট্টি, অর্জুন রামপাল এবং আফতাব শিবদাসানির সঙ্গে। কিন্তু প্রথম ছবির মতো দ্বিতীয় ছবিতেও বলিউডে কীর্তির সুপ্রসন্ন ভাগ্য অধরাই থেকে যায়। তৃতীয় ছবিতে তিনি সুযোগ পেলেন অনিল কাপুর, শিল্পা শেট্টির সঙ্গে অভিনয়ের। সতীশ কৌশিকের পরিচালনায় সেই ছবি ‘বধাই হো বধাই’ মুক্তি পেয়েছিল ২০০২ সালে।
কিন্তু এই রোমান্টিক কমেডিও বক্স অফিসে সেরকম সাফল্য পায়নি। পর পর তিন ছবিতে ব্যর্থতার পরে কীর্তিকে আর সুযোগ দেয়নি বলিউড। তিনি আবার চলে যান দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে। ২০০২ সালে অভিনয় করেন কন্নড় ছবি ‘সুপার স্টার’তে ২ বছর পরে মুক্তি পায় কীর্তির আরো একটি তেলুগু ছবি, ‘অর্জুন’। ছবিতে কীর্তির বিপীরতে নায়ক ছিলেন মহেশ বাবু। এরপর কীর্তিকে আর কোনো ছবিতে দেখা যায়নি। ২০০৪ সালে কীর্তি বিয়ে করেন তেলুগু অভিনেতা সুমন্তকে।
পরে সে সংসার ভেঙ্গে যায়। সেসময় সুমন্ত জানিয়েছেন, তাদের মানসিকতার মিল ছিল না। তাই দু’জনে বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন। বিচ্ছেদের পরে সুমন্ত আর বিয়ে করেননি। কীর্তির দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীর পরিচয় সেভাবে কোনো দিন সংবাদমাধ্যমে আসেনি। শোনা যায়, তিনি আমেরিকা প্রবাসী চিকিৎসক।
বিয়ের পর কীর্তিও আমেরিকায় ছিলেন বলে কিছু সূত্রে শোনা যায়। তবে তার সাবেক স্বামী সুমন্ত জানিয়েছেন, ২ সন্তানের মা কীর্তি এখন ব্যাঙ্গালুরুবাসী ব্যস্ত গৃহিণী। তার সঙ্গে মাঝে মাঝে কথাও হয় বলে দাবি সুমন্তর। ২০১৯ সালে ডিজাইনার শিল্পা রেড্ডির সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন কীর্তির ভাই প্রীতম।
ঘটনাচক্রে শিল্পা খুবই ঘনিষ্ঠ আক্কিনেনি পরিবারের সঙ্গে। সেই সূত্রে বিয়েতে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন সুমন্তও। দীর্ঘদিন পরে ওই বিয়ের আসরে একইসঙ্গে ফ্রেমবন্দি হন সুমন্ত ও কীর্তি। তাদের সেলফিও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছিলেন কীর্তি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.