শ্রীপুরে বাবার কর্মস্থলে বেড়াতে এসে শ্লীলতাহানির শিকার কিশোরী

রেদওয়ান

বেড়াতে এসে এক কিশোরী ধর্ষণ চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে। শুক্রবার (২ অক্টোবর) গাজীপুরের শ্রীপুরে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলি গ্রামের সাতসমুদ্র নামক একটি প্রজেক্টের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত রেজাউল (৩০) উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলি গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে। সে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।

ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার গাঘিয়া গ্রামে। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় সে তার বাবার কর্মস্থল গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তালতলি গ্রামে বেড়াতে আসে ওই কিশোরী। কিশোরীর বাবা উপজেলার তালতলি গ্রামে সাতসমুদ্র নামক প্রজেক্টে নয় মাস যাবৎ কেয়ারটেকার হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। সাতসমুদ্র নামক প্রজেক্টের মালিক ঢাকার এক বাসিন্দা হাসিনা বেগম। প্রজেক্ট দেখা শোনার দায়িত্বে রয়েছেন ওই কিশোরীর বাবা।

ভুক্তভোগী ওই কিশোরী জানান, গত ঈদুল আযহায় ঢাকা থেকে বাবার কাছে বেড়াতে আসে। আসার কিছু দিন পর থেকে বখাটে রেজাউল তাকে প্রাই সময় বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতো। অনেক বার নিষেধ করলেও তার বখাটেপনা থামেনি। রেজাউল আজ শুক্রবার দুপুরে সাতসমুদ্র প্রজেক্টের ভেতরে ঢুকে কিশোরীর কাছে পানি চায়। পরে কিশোরী ঘরে গেলে রেজাউল ওই কিশোরীর পিছনে ঘরে গিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষনের চেষ্টা করে। পরে কিশোরী চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। এসময় অভিযুক্ত রেজাউল পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বাবা জানান, ধর্ষণের চেষ্টা ঘটনাটি প্রথমে স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। পরে ঘটনাটি সম্পর্কে জানাজানি হলে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আমরা থানায় যাওয়ার জন্য চেষ্টা করলেও এলাকার কিছু লোক আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এলাকায় সমাধান না হলে প্রজেক্টে চাকরি করতে পারবনা বলেও হুমকি দেয়া হচ্ছে। তাই এখন কি করবো বুঝতে পারছিনা।

এ বিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, কিশোরীকে ধর্ষনের চেষ্টার ব্যাপারে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে অবশ্যই ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.