দেশজুড়ে নারীদের ইজ্জত রক্ষার আর্তনাদ

বিশেষ প্রতিনিধি

৫৬ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশে যেনো আজ ভেসে বেড়াচ্ছে ধর্ষণের উৎসব, নারীর চিৎকার, শিশুর চিৎকার, মায়ের কান্না, অসহায় বাবার কলিজা ফাটা আর্তনাদ। ফেসবুক আর ইউটিউবে যেনো ঘুরে বেড়াচ্ছে নারী নামের হরিণ শিকারের দৃশ্য ও শিকারিদের বর্বর উল্লাস।

সর্বশেষ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ঘটনায় উল্লসিত বর্বরদের বর্বরতার দৃশ্য দেখে আজ ফুঁসে উঠেছে গোটা দেশ। ক্রোধ, হাহাকার আর দীর্ঘদিনের বোবা যন্ত্রণার বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে প্রতিবাদী স্লোগান আর গর্জনে। ‘ভাই মাফ করেন, আমি বাচ্চার মা’।

এমন আর্তনাদ শুনে যখন কেঁপে উঠছে আসমান-জমিন, সেখানে পাষাণদের মন অবিচল। বেগমগঞ্জের সেই মা, সেই স্ত্রী নির্যাতকদের পায়ে পায়ে ঘুরে বলছে, ‘আমার মেয়েটা ছোট, ওরে অন্তত ছেড়ে দ্যান’। ওই মায়ের আত্মচিৎকারে সেদিন এগিয়ে আসার দুঃসাহস করেনি প্রতিবেশীরা বরং পাড়াপড়শি তখন দুয়ার আটকে চুপ!

বর্বর শিকারিদের বর্বরতার নেপথ্যে যে ক্ষমতা সেই ক্ষমতার ভয়ে পাড়া-পড়শি এগিয়ে আসেনি ওই মাকে শিকারিদের হাত থেকে রক্ষা করতে। তবে ফেসবুকের কল্যাণে ৩২ দিন আগের সেই নির্যাতনের ঘটনা ভাইরাল হলেই দেশজুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ। টনক নড়ে প্রশাসনের। জানা যায়, সেই ভিডিও ধারণ করে রাখার নেপথ্যে ওই নারীকে দাসী বানিয়ে রাখার প্রচেষ্টামাত্র।

বর্বর এ ঘটনার মূলহোতা বেগমগঞ্জের ত্রাস দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেনকে (২৬) অস্ত্রসহ র‌্যাব-১১ গ্রেফতার করার পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ওরফে বাদলকে (২০)।

মামলার এজাহারে দেলোয়ারের নাম না থাকলেও আসামিরা সবাই তারই লোক। তারা একত্রেই বেগমগঞ্জে নানা অপকর্ম করেন। নির্যাতনের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর দেলোয়ার বাহিনীর সবাই বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করার চেষ্টা করে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.