সাদা পোশাকে আদালতে হাজির মিন্নি

আসাদুজ্জামান

বরগুনার বহুল আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ও রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি ইতোমধ্যে আদালতে উপস্থিত হয়েছেন।

মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর সকাল ৯টার দিকে মোটরসাইকেলে করে তাকে নিয়ে আদালতে আসেন। এসময় মিন্নির মুখে সাদা মাস্ক ও সাদা থ্রিপিছ পরিহিত ছিলেন।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। রায়কে কেন্দ্র করে আদালত পাড়াসহ জেলা কারাগারকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও আদালত প্রাঙ্গনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি বেড়েছে। আদালতপাড়া ঘিরে বিভিন্ন সড়কে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে।

বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায়ের অপেক্ষায় তার পরিবার। করোনার সংক্রমণে আদালত বন্ধ থাকাসহ দীর্ঘ এক বছরের বিচারিক কার্যক্রম শেষে আজ বুধবার রায়ের দিন ধার্য করেন বিচারক।

বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে মানুষের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হয়।

ঘটনার পরদিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ।

ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক।

রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন, রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, মো. মুসা, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.