- বান্দরবানে কয়েকশত কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তির মালিক হেডম্যান মংথোয়াই চিং - September 20, 2024
- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক
জনি নামের এক যুবককে থানায় নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় পল্লবী থানার তৎকালীন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান জাহিদসহ তিন পুলিশ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার অন্য দুই আসামিকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- পল্লবী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাশেদুল ও এএসআই কামরুজ্জামান মিন্টু। সাত বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সোর্স সুমন ও রাশেদ।
এর মধ্য দিয়ে এই প্রথম নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে করা কোনো মামলার রায় হলো। আইনটি সাত বছর আগে ২০১৩ সালে পাস করা হয়েছে।
রায়ে বলা হয়েছে, পল্লবী থানার এসআই জাহিদুর রহমান খান, এএসআই রাশেদুল ইসলাম, এএসআই কামরুজ্জামান মিন্টুকে যাবজ্জীবন সাজা খাটার পাশাপাশি এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দিতে হবে।
অর্থদণ্ড দিতে না পারলে আরও ছয় মাস জেল খাটতে হবে তাদের। অর্থদণ্ড ছাড়াও নিহতের পরিবারকে দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে আসামিদের প্রত্যেককে। ক্ষতিপূরণের এই টাকা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিবারকে দিতে হবে এবং ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে কোনো আপিল চলবে না।
দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে কামরুজ্জামান ও রাসেল পলাতক। আগে থেকেই কারাগারে আছেন জাহিদুর রহমান ও সুমন। জামিনে ছিলেন রাশেদুল ইসলাম। রায়ের পর তাকে আজ কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মিরপুর ১১ নম্বর সেক্টরে স্থানীয় সাদেক নামের এক ব্যক্তির ছেলের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান চলাকালে পুলিশের সোর্স সুমন মেয়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন।
এ সময় নিহত জনি ও তার ভাই মেয়েদের উত্তক্তকারী সুমনকে চলে যেতে বলেন। সুমন চলে গেলেও পরদিন এসে আবার আগের মতো আচরণ করতে থাকে। তখন জনি ও তার ভাই তাকে চলে যেতে বললে সুমন পুলিশকে ফোন করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের ধরে থানায় নিয়ে যান। তাদের নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিলে পুলিশ গুলি ছোড়ে।
পরে থানায় নিয়ে জনিকে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে জনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জনিকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ঘটনায় ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহত জনির ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.