Latest posts by সম্পাদনা: এস.এম আব্দুর রাজ্জাক (see all)
- বান্দরবানে কয়েকশত কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তির মালিক হেডম্যান মংথোয়াই চিং - September 20, 2024
- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
স্বাধীন বাংলা নিউজ টিভিঃস্টাফ রিপোর্টার মোঃতপছিল হাসান:
শ্রেণি কক্ষে দুর্বল শিক্ষার্থীরা পাঠদান বুঝে উঠতে পারেনা বলেই তাদের অভিভাবকরা প্রাইভেট পড়াতে দেন। কিন্তু প্রাইভেট পড়ানোর নামে শিক্ষকরা যেন তাদের বাড়িটি স্কুলে পরিণত করেছেন। তাঁরা এক একটি ব্যাচে ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থীকে কোচিং করান। এতে প্রাইভেট পড়ার নামে শিক্ষার্থীরা কী সঠিক পাঠদান পাচ্ছে কিনা সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ক্লাসে পাঠদানের চেয়ে কোচিং করাতেই বেশি আগ্রহী। সেই সাথে যে সকল শিক্ষার্থী অন্য শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়ে তাদের বিষয়ে শ্রেণি কক্ষে বৈষম্যমূলক আচরণ করেন তারা।
এছাড়া বিদ্যালয়ের সাময়িক, নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্ন কৌশলে ‘সাজশনের নামে’ আগের তাদের কাছে প্রাইভেট পড়া শিক্ষার্থীদের দিয়ে দেন। আর পাবলিক পরীক্ষায় ওই শিক্ষার্থীদের পাস করাতে পরীক্ষা কেন্দ্রে দৌড়তে দেখা যায় তাদের।
এ বিষয়ে এক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ফজলে রাব্বী বলেন, একটি বিদ্যালয়ের নিজস্ব পরীক্ষার পদ্বতিতে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দায়িত্বে থাকেন। শিক্ষকরাও চান তাদের কাছে প্রাইভেট পড়া শিক্ষার্থীরা ভালো নম্বর অর্জন করে। এতে ভবিষতে আরো বেশি ছাত্র পাওয়া যাবে প্রাইভেট পড়াতে। কিন্তু পাবলিক পরীক্ষায় ওই শিক্ষকদের দৌড়-ঝাপ লক্ষ্য করা যায়।
উপজেলার সচেতন মহল মনে করেন, দুর্বল শিক্ষার্থীদের দেখভালের জন্য অভিভাবকরা প্রাইভেট শিক্ষক বা কোচিং করাতে দেন। কিন্তু কোচিং করার ক্ষেত্রে অনেকের পছন্দের শিক্ষক থাকতেই পারে। তাই বলে বেশি নম্বর অর্জনের জন্য প্রশ্ন ফাস কিংবা শ্রেণি কক্ষে বৈষম্যমূলক আচরণ কোন ভাবে কাম্য নয়। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নজরদারী প্রয়োজন বলে করেন তারা।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.