পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের পর ধরা পড়ল চার যুবক

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী

রাজশাহীতে অভিনব কায়দায় পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের পর চার যুবক ধরা পড়েছে। তারা পাঁচ যুবকের কাছ থেকে মুঠোফোন ছিনতাই করেছিল। তবে ছিনতাইয়ের পর পুলিশ কিনা তা যাচাই করার জন্য একজনকে ধরে থানায় নিয়ে যায় ভুক্তভোগীরা। তখনই তাদের ভুয়া পরিচয় বেরিয়ে আসে।

এরপর একে একে চক্রের সবাইকেই আটক করেছে পুলিশ। এরা হলো- রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালি থানার সুচারণ এলাকার রুহুল আমিন, একই এলাকার নিলয় ও সাগর এবং রূপসিডাঙ্গা এলাকার শ্রাবণ হোসেন। ছিনতাইয়ের অভিযোগে এদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

কাটাখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার পর রাজশাহী শহর থেকে এক যুবক তার চার বন্ধুকে নিয়ে সুচারণ এলাকায় খালার বাসায় বেড়াতে যান। ওই এলাকায় রুহুল আমিনের সঙ্গে এই পাঁচ যুবকের পরিচয় হয়। পরে রুহুলের সঙ্গেই তারা খেজুরের রস পান করতে যান। রস পানের সময় উপস্থিত হয় নিলয়, শ্রাবণ ও সাগর। এদের একজন পুলিশের জ্যাকেট পরে ছিল।

তখন রুহুলসহ এই চারজন নিজেদের পুলিশ হিসেবেই পরিচয় দেয়। এরপর রস পানের অভিযোগে তারা ওই পাঁচ যুবককে ‘আটক’ করেন। এ সময় প্রত্যেকের মুঠোফোন কেড়ে নেওয়া হয়। তারা কোন থানার পুলিশ জানতে চাইলে মারধর করা হয়। এরপর ‘স্যার’কে ডাকা এবং পিকআপ আনার কথা বলে রুহুল ছাড়া অন্য তিন ছিনতাইকারী সটকে পড়ে। তবে এ সময় ওই পাঁচ যুবকের সন্দেহ হয়। তারা আসলেই পুলিশ কিনা তা নিশ্চিত হতে রুহুলকে ধরে ফেলেন। এরপর তারা তাকে কাটাখালি থানায় নিয়ে যান। এ সময় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রুহুল স্বীকার করে যে তারা পুলিশ নয়, ছিনতাইকারী।

ওসি জানান, রুহুলকে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেয়া তথ্যেরভিত্তিতে একে একে অন্য তিনজনকেও আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা পাঁচটি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। এছাড়া পুলিশের একটি জ্যাকেটও পাওয়া যায় তাদের কাছে। এ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী পাঁচজনের একজন থানায় মামলা করেছেন।

শনিবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.