- গোসল করতে গিয়ে নদীতে ডুবে এক বৃদ্ধ’র মৃত্যু - November 14, 2024
- একজন সৎ সাহসী ও মানবিক লেডি পুলিশ অফিসারের জীবন কালের গল্প - November 14, 2024
- ফরিদগঞ্জে চোরাইকৃত অটোরিক্সা ও সিএনজি স্কুটারসহ চার চোর গ্রেফতার - November 14, 2024
আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন
মিসরে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের নেকাব পরার ওপর নিম্ন আদালতের নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। গত সপ্তাহে মিসরের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক এ আপিল নিষ্পত্তির রায় ঘোষণা করেন।আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিসরের নিম্ন আদালত ২০১৬ সালে নেকাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে এর বিরুদ্ধে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের নেকাবপরা নারী শিক্ষিকারা নিষেধাজ্ঞার আদেশ বাতিল চেয়ে আপিল করেন।
কিন্তু গত সপ্তাহে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত আপিল খারিজ করে নেকাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন। এর পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিশ্বব্যাপী শুরু হয় সমালোচনার ঝড় ও প্রতিবাদ।আদালতের যুক্তি, নেকাব শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যকার সম্পর্ক ও যোগাযোগের বিষয়টি সহজ ও ফলপ্রসূ হওয়ার অন্তরায়। নেকাবের নিষেধাজ্ঞা শুধু শিক্ষিকাদের জন্য, মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নয়।
নেকাব পরা নারী শিক্ষিকাদের আইনজীবী আহমাদ মেহরান বলেন, কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ নারী ২০১৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেছিলেন। গত সপ্তাহে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেই রায় দেন।কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য জাবির নেসার ২০১৩ সালের আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষিকাদের নেকাব পরায় নিষেধাজ্ঞার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। কিন্তু ইসলামপন্থী মুহাম্মদ মুরসি সরকার ক্ষমতায় থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি।
পরে মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হলে এই উপাচার্য ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষিকাদের নেকাব পরায় নিষেধাজ্ঞা আইন বাস্তবায়নে সক্রিয় হয়ে ওঠেন এবং প্রশাসনিকভাবে নেকাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।কিন্তু নিষেধাজ্ঞা জারির পর নারী শিক্ষিকারা ২০১৬ সালে আদালতের স্মরণাপন্ন হন। অবশেষে আদালত উপাচার্য জাবির নেসারের প্রশাসনিক আদেশ বহাল রেখেই এই রায় দেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.