ধনবাড়ীর ইটভাটায় যাচ্ছে আবাদি জমির উর্বর মাটি দেখার কেউ নেই/ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার ধুম

ধনবাড়ী (টাংগাইল) প্রতিনিধি :

সরকারি নিয়ম বিধি মোতাবেক পরিত্যাক্ত জমি, নদী বা নিচু জলাশয়ের ধারে ইটভাটা গড়ে তুলে সেখান থেকে মাটি সংগ্রহ করে ইটভাটায় ব্যবহার করার নিয়ম-বিধি থাকলেও টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় কোন নিয়ম বিধি মানা হচ্ছে না। প্রভাবশালী ও অসাধু ব্যক্তিরা উপজেলার যত্রতত্র ইটভাটা গড়ে তুলে আবাদি জমির উর্বর মাটি দিয়ে ইট তৈরি করছে। ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও পরিবেশ মারাত্মক ভাবে দূষিতসহ ক্ষতিগ্রস্ত্র হচ্ছে। এ বছর ধনবাড়ী উপজেলায় ১৯টি ইটভাটায় ইট পড়ানো হচ্ছে। এর ৩টির অবস্থান ধনবাড়ী পৌরসভার ভিতরে। বাকিগুলোর অধিকাংশই বিভিন্ন বাসাবাড়ি বা ঘন বসতির ধারে অথবা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে উর্বর দোফলা বা ত্রিফলা আবাদি জমিতে। এদিকে এক শ্রেণীর কৃষক বা জমির মালিক অধিক টাকার বিনিময়ে আবাদি উর্বর জমির মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক জানান, এক বিঘা জমির মাটি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়।

মাটি বিক্রির পর ওই জমিতে ৩ বছর কোন আবাদ হয় না। তার পরও মাটি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে অনেকেই। কারণ ভাটার মালিকরা কিছু অপকৌশল প্রয়োগ করে মাটি কিনে নিচ্ছেন। অপরদিকে ট্রাক বা ট্রাক্টরযোগে মাটি বহনের কারণে রাস্তাঘাট ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং ধুলা-বালির কারণে পথচারীরা শ্বাসকষ্টসহ অতিকষ্টে চলাফেরা করতে বাধ্য হচ্ছে। যত্রতত্র ইটভাটা গড়ে উঠায় পরিবেশ মারাত্মক ভাবে দূষিত এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হলেও স্থানীয় প্রশাসনের কোন নজর নেই। সূত্রে প্রকাশ, এসব ভাটার মালিকরা সব মহল ম্যানেজ করেই চলছে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.