চাঁদপুর মতলব সদর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে ময়লা-আবর্জনার স্ত্তব শহরবাসীর জন দুর্ভোগ

স্বাধীন বাংলা নিউজ টিভি স্টাফ রিপোর্টার মোঃতপছিল হাছানঃ  চাঁদপুর মতলব দক্ষিণ উপজেলায় খুবই সুনাম ধন্য থানা নামে বাংলাদেশের মধ্যে  পরিচিত। অন্যদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে মতল সদর শহরের কোথাও ময়লা ফেলার নির্ধারিত জায়গা না থাকাতে এবং (ডাস্টবিন) না থাকায় শহরের রাস্তার পাশে, পাড়া-মহল্লায় ভাড়া বাড়ির থেকে শুরু কড়ে বিভিন্ন হোটেল ও দোকানের  যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। সেখানে আবর্জনার স্তূপ পড়ে যায়। নিয়মিত পরিষ্কার না করার কারণে এসব স্তূপ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। অন্যদিকে ময়লা আবর্জনার থেকে হাউজিংগ্যাস হওয়া সম্ভাবনা এবং এই গ্যাস থেকে জনগনের খুবই মৃত্যু হওয়া টায় সাবাবিক এর ফলে শহরবাসী দুর্ভোগে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে নির্ধারিত ডাস্টবিন না ধাকায় ময়লা-আবর্জনা পড়ে ড্রেনেজ বন্ধ হয়ে অচল হয়ে পড়েছে। ড্রেনের নালা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। ওই সময় ময়লা পানিতে বর্জ্যসহ হাঁটা বিপজ্জনক ও দুর্ঘটনার আশঙ্কায় পড়ে পথচারীরা।
মতলব পৌরসভা অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ৭ মার্চে প্রতিষ্ঠিত এ পৌরসভাটি একটি দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভা। প্রায় ৭১ হাজার জনসংখ্যার বসতি রয়েছে এ পৌরসভায়। পৌরসভাসহ ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩নং ওয়ার্ড এলাকাটি হলো শহরের প্রাণকেন্দ্র। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী ১নং, ৪নং ও ৬নং ওয়ার্ডজুড়ে রয়েছে আবাসিক এলাকাসহ ছোট, মাঝারি শিল্পকারখানা ও হাসপাতাল। এ ওয়ার্ডগুলোতে বাসাবাড়িসহ দোকানপাট ও শিল্প কারখানার ময়লা আবর্জনা বর্জ্য যত্রতত্র ফেলা হয়। এসব বর্জ্য ও আবর্জনার দুর্গন্ধে শহরের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে দারুণভাবে।
দেখা যায়, শহরের কলাদী, এলেমগঞ্জ, ঘোষপাড়া, মধ্য কলাদী, পূর্ব কলাদী, কলেজ গেইট এলাকা, নবকলস, ওয়াপদা এলাকা, দশপাড়া ও ভাঙ্গারপাড় এলাকাগুলোতে আবর্জনা, ময়লা, ধূলাবালি ও বর্জ্য বেশি রয়েছে। শিক্ষার্থীরা আসা-যাওয়ার পথে দুর্গন্ধে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
শহরের কলাদী এলাকার চাকুরিজীবী আঃ লতিফ, গৃহিণী মমতাজ বেগম, কলেজ ছাত্র মুনতাসিরসহ এলাকাধিক পৌরবাসী জানান, ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট ডাস্টবিন নেই। ফলে যে যেখানে পারছে ময়লা ফেলছে। এতে বর্জ্যে ভারী হচ্ছে পুরো পৌর এলাকা। শহরের মহল্লায় মহল্লায় ও রাস্তার পাশে বর্জ্য ফেলার কারণে পরিবেশ দূষণসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে।
বর্জ্য ও আবর্জনার বিষয়ে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্রে সহকারী সার্জন ফিরোজ আহমেদ প্রোপেন বলেন, শহরে দু ধরনের বর্জ্য (হাসপাতাল ও আবাসিক) দূষণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। এসব বর্জ্য থেকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ রোগ ছড়ায়। এছাড়াও বর্জ্য ধূলাবালি ও আবর্জনার দূষণে পেটের পীড়া, চর্মরোগ, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট এমনকি লিভার ও কিডনী নষ্ট হতে পারে।
মতলব পৌরসভার মেয়র আওলাদ হোসেন লিটন বলেন, খাস জায়গাগুলো ব্যক্তি মালিকানার দখলে চলে গেছে। তারা ওই জায়গাগুলো ভরাট করে ফেলায় শহরের পানি সরতে পারছে না। এছাড়া ডাস্টবিন বা ময়লা ডাম্পিং করার জায়গাও পাচ্ছি না। তবে ড্রেনেজ সংস্কারের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.