চাঁদুপর মতলবে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সহপাঠি মিলে ধর্ষণের চেষ্টা

স্বাধীন বাংলা নিউজ টিভিঃ

চাঁদপুর মতলব দক্ষিণ উপজেলা নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিণ বাড়ৈগাঁও ৪নং ওয়ার্ডের শাহ আলম খাঁ এর ছোট মেয়ে মাইনূর আক্তার (১৪) মতলব পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের ধনারপাড় গ্রামের পিন্টু মিয়ার ছোট ছেলে ওমর সানি (২০) ও খাদেরগাঁও ইউনিয়নের সুরুজ মেম্বারের ছেলে রুবেল, হালিম পিতা- নুরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর মেম্বারের  বাড়ির তিন বন্ধ মিলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নারায়ণপুর সি,এন,জি স্ট্যান্ড থেকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে যায় হূরমহিষা গ্রামে বিলের মধ্যে টেনে হেচড়ে নিয়ে যায়। ঐ সময় মাইনূর আক্তার ডাক- চিৎকার করিলে জাহিদুল নামে এক যুবক ধর্ষণকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করে।

 

মতলব দক্ষিণ উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের মধ্যে তিন যুবকের এক ১৪ বৎসরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় যে, নূরে আলম, পিতাঃ মুকবুল প্রধানীয়ার ছেলেকে ধর্ষণের বিষয়কে কেন্দ্র করে হাতে কাপিলা গাছের ডাল দিয়ে গণপিটুনি দেওয়াতে নূরে আলম পরিচিত সাংবাদিকদেরকে অনিয়মের বিষয় মুখ খোলে বলেন আমি বাধা দেওয়াতে আমার উপর হামলা করে ১। ওমর সানি, ২। হালিম,  ৩। রুবেল তিন জন মিলে আমাকে একা পেয়ে হাত পা বেধে মারধর করে। অবশেষে দক্ষিণ বাড়ৈগাঁও গিয়ে মাইনূর আক্তারকে দিবাগত আনুমানিক রাত ১১.৩০মিনিটে এই ঘটনাটি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিলে সে বলে ওমর সানি আমাকে ১ বৎসর আগে আমাকে প্রেমের ফাঁদে ফাঁদ ফেলে আমাকে জোড় পূর্বকভাবে কাচা ধান ক্ষেতের মধ্যে ফেলে জোড় করে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে আমার চাচির মটোফোনে ফোন করে ক্ষমা চেয়ে বলে আমার আর কোন দিন এই রকম ভুল হবে না। দ্বিতীয় বার আমাকে স্যামপনি একটি মোবাইল ও সীম কাড কিনে দেওয়ার পর আমাকে আমার আত্মীয় বাড়ির দেখা করার জন্য বলে। পরবর্তীতে আমি তাহার মিথ্যা প্রেমের ফাঁদে পরে দেখা করতে যাই কিন্তু সে আমার দূরভলতার সুযোগ নিয়ে আমার কাপর খোলে গোপনীয় ভাবে ছবি তোলে সেখানে জোড় করে ধর্ষণ করে। তৃতীয় সময় বিয়ের কথা বলে আমাকে নিয়ে আসা হয়। তখন দুপুর ৪.০০ ঘটিকার সময় আমাকে পুুটিয়া গ্রামে মানিক নামে তাহার বিল্ডিং এ মধ্যে ডুকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে সে আনুমানিক রাত ৮.০০ টা সময় এসে বলে আগামীকাল কোডে গিয়ে আমরা দুইজন বিবাহ করিব। এই কথা বলে সারা রাত্র আমাকে একাধিক ধষর্ণ করে। ফজর নামাজের আযানের মধ্যে দিয়ে আমার বাড়িতে এনে ওমর সানি চলে যায়। চতুর্থবার তার সহপাঠি ১। ওমর সানি, ২। হালিম,  ৩। রুবেল তিন জন সি.এন.জি দিয়ে এসে মুখের মধ্যে চাপ দিয়ে সি.এন.জির মধ্যে টান দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে যায় হূরমহিষা গ্রামের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার পর ৩ জন মিলে হাতে ধরে পরবর্তীতে আমি ডাক- চিৎকারের শব্দ শুনে মটর সাইকল ৩ যুবক মিলে আমাকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে নারাণপুর সি.এন.জি স্ট্যানের স্যাক্রেটারী মামুনুর রহমান ৫,০০০/- টাকার দালালির মাধ্যমে সে ৩ যুবককে আটক করে রেখে ১৪ বৎসরের মাইনূর আক্তারকে তার পিতা ও মাতার কাছে হস্তান্তর করে দিয়ে এসে ৩ ধর্ষনকারী সহপাঠি কাছ থেকে ৫,০০০/- টাকার বিনিময়ে তাদের অভিভাবকের হাতে তুলে দেন মামুন। এদিকে ইউপি সদস্য খাদেরগাঁর ইউনিয়নের মেম্বার রুবেলের পিতা সুরুজ বলেন আমার ছেলে এই ধরণের কাজ করতে পারে না। নাগদার লোকজন ভালো করে যানে আমার ছেলে কি রকম। অন্যদিকে হালিম বাড়ি থেকে উদাও হয়ে কচুয়া থানায় তাহার শ্বশুর বাড়িতে এখন বর্তমানে অবস্থান আছে। অন্যদিকে প্রথম ধর্ষণকারী ওমর  সানি তার লোকচুরি ভাবে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এবং সি.এন.জি সেক্রেটারী মামুন প্রশাসনিক ও এলাকার জন প্রতিনিধি সহযোগীতা না নিয়ে তাহার সি.এন.জি চালকদের সদস্যদের পক্ষ নিয়ে তিনি বিষয়টি ৫,০০০/- টাকার বিনিময়ে ধামা-চাপা দেন। অন্যদিকে ধর্ষীত শিশু মাইনূর আক্তার চোখের পানি দিয়ে সকলের কাছে হাত জোড় করে বলেন ওমর সানি সাথে আমাকে বিবাহ দেওয়ার জন্য বলেছি কিন্তু কোন লোকই আমার কোন কথা শুনেনি বলে জানান।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.