- বান্দরবানে কয়েকশত কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তির মালিক হেডম্যান মংথোয়াই চিং - September 20, 2024
- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
একটি ফ্ল্যাট, একটি মাইক্রোবাস ও চার বিঘা জমির কথা উল্লেখ করে সম্পদবিবরণী জমা দিলেও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তা একেএম কামরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফাতেমাতুজ জোহরার আরও বিপুল সম্পদের তথ্য মিলেছে।
কামরুল অধিদফতরের ঢাকা মেট্রো উপ-অঞ্চলের রমনা সার্কেলের পরিদর্শক। আর জোহরা গৃহিণী। এই দম্পতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক একেএম মাহবুবুর রহমান।
দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ২৮ আগস্ট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পাঁচ পরিদর্শক ও তাদের স্ত্রীদের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠায় দুদক। এদের মধ্যে কামরুল ও তার স্ত্রীর নামও রয়েছে। নোটিশ পাওয়ার পর ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদবিবরণী দুদকে দাখিল করার কথা থাকলেও কামরুল দম্পতি আরও ১৫ কার্যদিবস সময় চেয়ে নেয়। পরে গত মাসের শেষদিকে সম্পদবিবরণী দাখিল করেন তারা।
এ বিষয়ে কামরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে পাঁচ পরিদর্শক ও তাদের স্ত্রীদের সম্পদবিবরণী দাখিলের নোটিশ পেয়েছিলাম। পরিদর্শকদের মধ্যে তিন জনের হিসাব নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। পরিদর্শক সুমনুর রহমান ও লায়েকুজ্জামানের সম্পদ ও সম্পদবিবরণী নিয়ে সমস্যা আছে। সমস্যা দূর করে একসঙ্গে সম্পদবিবরণী দাখিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সেজন্যই সম্পদবিবরণী দাখিলের সময় বাড়ানো হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘রাজধানীর চামেলীবাগে যে ফ্ল্যাটে আমি থাকি, সেটি মূলত আমার স্ত্রীর নামে। এটি আমার যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ভায়েরা ভাই তাকে হেবা করে দিয়েছেন। আমার একটি মাইক্রোবাস আছে। সেটি ভাড়ায় চলে, নিজেও ব্যবহার করি। পৈতৃক সূত্রে ৩-৪ বিঘা জমির মালিক আমি।’ কামরুলের দাবি, অধিদফতরের কিছু কর্মকর্তা শত্রুতা করে দুদকে অভিযোগ করেছে।
পুরো বিষয়টি অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে বলে দুদক উপ-পরিচালক মাহবুবুর রহমান এ বিষয়ে তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
তবে দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র জানায়, কামরুল ও তার স্ত্রী জোহরার বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু হয় গত বছরের ৩ জানুয়ারি। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়ার পর সম্পদবিবরণী চেয়ে নোটিশ জারির অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদনের পর নোটিশ পাঠান দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
দুদকের অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী কামরুল দম্পতির নামে-বেনামে যত সম্পদ:
১. রাজধানীর শাহজাহানপুরে (৪১, চামেলীবাগে) ২ হাজার বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট। বর্তমান এর বাজারমূল্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
২. মালিবাগে (শাহী মসজিদের পূর্বপাশে, হোল্ডিং নং ২২৭) দেড় হাজার বর্গফুটের করে দুটি ফ্ল্যাট। ফ্ল্যাট দুটি রানার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির কাছ থেকে কেনা। এগুলোর বাজারমূল্য ২ কোটি টাকা।
৩. পটুয়াখালীর চরপাড়ায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
৪. পটুয়াখালীর চরপাড়ায় পাঁচতলা বাড়ি।
৫. পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় ৩ একরের বাগানবাড়ি।
৬. একটি ইলেকট্রনিক্স কোম্পানিতে ৩০ শতাংশ শেয়ার।
৭. কালো রঙের ১৪ সিটের একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ-১৯-২০৪৫)।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.