- একজন সৎ সাহসী ও মানবিক লেডি পুলিশ অফিসারের জীবন কালের গল্প - November 14, 2024
- ফরিদগঞ্জে চোরাইকৃত অটোরিক্সা ও সিএনজি স্কুটারসহ চার চোর গ্রেফতার - November 14, 2024
- আলীকদমের কৃষকরা পান চাষে স্বাবলম্বী - November 13, 2024
অনলাইন ডেস্ক:
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় স্ত্রীকে খুন করেছেন এক গ্রাম পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের রশিদ দেওহাটা গ্রামে।
নিহতের স্বামী গ্রাম পুলিশ জলিল খলিফা উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের মীর দেওহাটা গ্রামের ফজর আলী খলিফার ছেলে। নিহত স্ত্রীর নাম ছাহেরা বেগম (৫২)।
স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় জলিল খলিফাকে বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে গ্রেফতার করে পুলিশ। দুপুরে তাকে আদালতে পাঠালে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আকরামুল ইসলাম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
পুলিশ জানায়, জলিল খলিফা আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি জানিয়েছেন স্ত্রী ছাহেরা বেগম দুই ছেলে ও এক কন্যাসন্তানের জননী। তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। স্ত্রী তাকে স্বামীর মর্যাদা না দিয়ে অবাধ্য হয়ে নিজের ইচ্ছামতো চলাফেরা করতেন। প্রতিদিন স্বামীকে নির্যাতন ও গায়ে তুলতেন স্ত্রী। এজন্য তাকে খুন করা হয়।
সোমবার রাত ৮টার দিকে ছাহেরার বাবার বাড়িতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে স্ত্রীকে মারপিট করেন স্বামী। পরে স্ত্রীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে নিজ বাড়িতে চলে যান জলিল খলিফা।
মঙ্গলবার সকালে নিহতের মেয়ে রত্না বেগম বাদী হয়ে খালা ছালেহা বেগম ও খালাতো বোন নুরজাহানকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। রত্নার নানার সম্পত্তি নিয়ে মা ও খালার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
বুধবার সকালে নিহতের স্বামী জলিল খলিফাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন স্বামী। পরে আদালতের বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠান।
মির্জাপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন স্বামী। পরে আদালতের বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠান।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.