শিক্ষকের লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে স্কুল ছাত্রকে প্রকাশ্যে অপমান ও লাঞ্ছিত করায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার মো: তপছিল হাছানঃ

চাঁদপুর মতলব দক্ষিণ উপজেলায় উত্তর উপাদি ইউনিয়নের আচলছিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে দিন দুপুরে প্রকাশ্যে বাজারের মধ্যে অপমান ও লাঞ্ছিত করাতে নবম শ্রেণীর ছাত্র রাসেল হোসেন রানা এই কষ্টকে ভুলতে না পেরে গলায় ফাস দিয়ে আতœহত্যা করে। ১নং ওয়ার্ডের আচঁলছিলা গ্রামের সাগর ব্যাপারীর বড় ছেলে মৃত রাসেল হোসেন রানা (১৭) সহপাঠী একই গ্রামের দুলাল মিয়াজীর ছেলে শাকিল হোসেন (১৭) আচলছিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের জে.এস.সি পরীক্ষার্থী খাদিজা আক্তার পুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের জে.এস.সি সেন্টারের পরীক্ষার আসার পথে রাস্তার মধ্যে ছাত্রীকে হাতে ধরে টেনা হেচড়া করে শাকিল। এই সূত্রপাত ধরে খাদিজা তাহার পিতামাতার কাছে নালিশ করিলে অভিভাবক বিল্লাল হোসেন হাওলাদার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে মৌখিক নালিশ দেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নালিশকে কেন্দ্র করে এলাকার লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে চাপাতিয়া বাজারের মধ্যে প্রকাশ্যে লাঠিয়াল বাহিনীরা রাসেল হোসেন রানাকে জনসম্মুখে অপমান ও লাঞ্ছিত করে। পরবর্তীতে রাসেলের চাচার কাছে তুলে দেওয়া হয়। আগামী কালের সকাল ১০টায় বাজারের মধ্যে শালিস বৈঠকের সময় দেওয়া হয়।

আচলছিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিত্য গোপাল সরকার তাহার কাছে মৌখিক অভিযোগকে কেন্দ্র করে ও নীতিমালা তোয়াক্কা না করে এলাকা ভিত্তিক মানুষকে খেপিয়ে প্রথম ভিকটিম দুলাল মিয়াজীর ছেলে শাকিল হোসেন কে তাহার পিতার কাছে শালিস দিয়ে বলে, জেএসসি পরীক্ষার্থী পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে খাদিজা আক্তারকে ছাত্রছাত্রীদের সামনে হাতে ধরে টানা হেচড়া করে। এ বিষয়ে দুলাল শোনার পরে তাহার ছেলে শাকিলকে বেপক মারধর করে। পরবর্তীতে ১। রাসেলকে চাপাতিয়া বাজারের মধ্যে জনগণের সামনে অপমান করাতে মৃত রাসেল হোসেন তার মায়ের হাতে খানা খেয়ে ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে লেখে যে, মরার আগে মায়ের হাতের খানা খেলাম। কিন্তু বন্ধুবান্ধবদের ফাঁদে পড়ে অপমানের স্বীকার হইতে হইল। আর যাকে এত ভালোবেসেছি তাহার মন পেলাম না। এই বলে পেন্টের কাপড়ের বেল্ট দিয়ে ঘড়ের আড়ার মধ্যে ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করে রাত ১১ টা ১০ মিনিটে।

এই বিষয়ে মৃত রাসেল হোসেনের পিতা বলেন, মো: সাগর বেপারী যে আমার ছেলে যদি রাস্তাঘাটে মেয়ে উত্যক্ত করে তাহলে আমাকে জানাতে পারত। কিন্তু প্রধান শিক্ষক নিত্য গোপাল সরকার আমাকে ও আমার পরিবারকে কাউকে জানানো হয় নি। মৃত রাসেল হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি চাপাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিত্য গোপাল সরকার মোবাইল মোটো ফোনে জানতে চাইলে তিনি পরিচয় জানতে চান। পরবর্তীতে সে সাংবাদিকের পরিচয় শুনে লাইন কেটে দেয়। তিনি ৩ মাস পূর্বে মৃত রাসেল হোসেন কে প্রতিষ্ঠানে ডেকে এনে টয়লেটের মধ্যে তিন ঘন্টা আটকিয়ে রাখে। দুলাল মিয়াজী বলেন, মোবাইল মটো ফোনে বলেন যে আমার ছেলে সাকিল হোসেন কে রাসেলের সাথে যেন না চলে আমার ছেলেকে আমি শাসন দিয়েছি। বাজারের মধ্যে রাসেলকে আমি আমার ছেলের সাথে চলাফেরা নিষেধ করেছি। মৃত রাসেলের জন্য উপজেলা ছাত্রলীগ যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রদল মিলে একটি মিছিল সুষ্ঠ তদন্ত বিচারের দাবিতে আলোচনা সভা করে এবং এলাকার জন প্রতিনিধি উপদি উত্তর ইউনিয়ন সদস্য মো: ইউসুফ হাজরা বলেন, এই মৃত রাসেলের পরিবারের পাশে থেকে সুষ্ঠ তদন্ত এবং শাস্তি আশ^াস দেন।

মতলব দক্ষিণ থানা ইনচার্জ স্বপন কুমার আইচ বলেন, চাপাতলীর রাসেলের ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং তিনজনকে আসামী করে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাহার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

 

 

 

স্টাফ রিপোর্টার মো: তপছিল হাছানঃ

 

চাঁদপুর মতলব দক্ষিণ উপজেলায় উত্তর উপাদি ইউনিয়নের আচলছিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে দিন দুপুরে প্রকাশ্যে বাজারের মধ্যে অপমান ও লাঞ্ছিত করাতে নবম শ্রেণীর ছাত্র রাসেল হোসেন রানা এই কষ্টকে ভুলতে না পেরে গলায় ফাস দিয়ে আতœহত্যা করে। ১নং ওয়ার্ডের আচঁলছিলা গ্রামের সাগর ব্যাপারীর বড় ছেলে মৃত রাসেল হোসেন রানা (১৭) সহপাঠী একই গ্রামের দুলাল মিয়াজীর ছেলে শাকিল হোসেন (১৭) আচলছিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের জে.এস.সি পরীক্ষার্থী খাদিজা আক্তার পুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের জে.এস.সি সেন্টারের পরীক্ষার আসার পথে রাস্তার মধ্যে ছাত্রীকে হাতে ধরে টেনা হেচড়া করে শাকিল। এই সূত্রপাত ধরে খাদিজা তাহার পিতামাতার কাছে নালিশ করিলে অভিভাবক বিল্লাল হোসেন হাওলাদার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে মৌখিক নালিশ দেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নালিশকে কেন্দ্র করে এলাকার লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে চাপাতিয়া বাজারের মধ্যে প্রকাশ্যে লাঠিয়াল বাহিনীরা রাসেল হোসেন রানাকে জনসম্মুখে অপমান ও লাঞ্ছিত করে। পরবর্তীতে রাসেলের চাচার কাছে তুলে দেওয়া হয়। আগামী কালের সকাল ১০টায় বাজারের মধ্যে শালিস বৈঠকের সময় দেওয়া হয়।

 

আচলছিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিত্য গোপাল সরকার তাহার কাছে মৌখিক অভিযোগকে কেন্দ্র করে ও নীতিমালা তোয়াক্কা না করে এলাকা ভিত্তিক মানুষকে খেপিয়ে প্রথম ভিকটিম দুলাল মিয়াজীর ছেলে শাকিল হোসেন কে তাহার পিতার কাছে শালিস দিয়ে বলে, জেএসসি পরীক্ষার্থী পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে খাদিজা আক্তারকে ছাত্রছাত্রীদের সামনে হাতে ধরে টানা হেচড়া করে। এ বিষয়ে দুলাল শোনার পরে তাহার ছেলে শাকিলকে বেপক মারধর করে। পরবর্তীতে ১। রাসেলকে চাপাতিয়া বাজারের মধ্যে জনগণের সামনে অপমান করাতে মৃত রাসেল হোসেন তার মায়ের হাতে খানা খেয়ে ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে লেখে যে, মরার আগে মায়ের হাতের খানা খেলাম। কিন্তু বন্ধুবান্ধবদের ফাঁদে পড়ে অপমানের স্বীকার হইতে হইল। আর যাকে এত ভালোবেসেছি তাহার মন পেলাম না। এই বলে পেন্টের কাপড়ের বেল্ট দিয়ে ঘড়ের আড়ার মধ্যে ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করে রাত ১১ টা ১০ মিনিটে।

 

এই বিষয়ে মৃত রাসেল হোসেনের পিতা বলেন, মো: সাগর বেপারী যে আমার ছেলে যদি রাস্তাঘাটে মেয়ে উত্যক্ত করে তাহলে আমাকে জানাতে পারত। কিন্তু প্রধান শিক্ষক নিত্য গোপাল সরকার আমাকে ও আমার পরিবারকে কাউকে জানানো হয় নি। মৃত রাসেল হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি চাপাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিত্য গোপাল সরকার মোবাইল মোটো ফোনে জানতে চাইলে তিনি পরিচয় জানতে চান। পরবর্তীতে সে সাংবাদিকের পরিচয় শুনে লাইন কেটে দেয়। তিনি ৩ মাস পূর্বে মৃত রাসেল হোসেন কে প্রতিষ্ঠানে ডেকে এনে টয়লেটের মধ্যে তিন ঘন্টা আটকিয়ে রাখে। দুলাল মিয়াজী বলেন, মোবাইল মটো ফোনে বলেন যে আমার ছেলে সাকিল হোসেন কে রাসেলের সাথে যেন না চলে আমার ছেলেকে আমি শাসন দিয়েছি। বাজারের মধ্যে রাসেলকে আমি আমার ছেলের সাথে চলাফেরা নিষেধ করেছি। মৃত রাসেলের জন্য উপজেলা ছাত্রলীগ যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রদল মিলে একটি মিছিল সুষ্ঠ তদন্ত বিচারের দাবিতে আলোচনা সভা করে এবং এলাকার জন প্রতিনিধি উপদি উত্তর ইউনিয়ন সদস্য মো: ইউসুফ হাজরা বলেন, এই মৃত রাসেলের পরিবারের পাশে থেকে সুষ্ঠ তদন্ত এবং শাস্তি আশ^াস দেন।

 

মতলব দক্ষিণ থানা ইনচার্জ স্বপন কুমার আইচ বলেন, চাপাতলীর রাসেলের ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং তিনজনকে আসামী করে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাহার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.