মোংলা-পায়রাসহ নয় জেলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও প্রবল আকার ধারণ করায় সংকেতের মাত্রা বাড়িয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ উপকূলীয় নয়টি জেলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ এবং কক্সবাজারকে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

শনিবার সকাল ৯টায় আওবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক আয়েশা খাতুন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

আবহাওয়াবিদ আয়েশা খাতুন জানান, ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা নাগাদ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলের ওপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। এর প্রভাবে সাত ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার সকাল ৯টায় মোংলা থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, পায়রা থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এর দূরত্ব ছিল ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং কক্সবাজার থেকে ৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।

আবহাওয়াবিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে শনিবার দুপুরের পর থেকে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি ও ঝড়োহাওয়া শুরু হতে পারে। সাগর ইতিমধ্যে প্রচণ্ড উত্তাল হয়ে ওঠেছে।

সুদূর প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্ট উষ্ণমণ্ডলীয় ঝড় মাতমো গত অক্টোবরের শেষে ভিয়েতনাম হয়ে স্থলভাগে উঠে আসে৷ সেই ঘূর্ণিবায়ুর অবশিষ্টাংশই ইন্দোনেশিয়া পেরিয়ে ভারত মহাসাগরে এসে আবার নিম্নচাপের রূপ নেয়৷ বার বার দিক বদলে নিম্নচাপটি আবার শক্তিশালী হয়ে ওঠে৷ পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে এসে বুধবার রাতে তা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে এর নাম দেওয়া হয় বুলবুল৷

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তরের নির্ধারিত তালিকা থেকে ধারাবাহিকভাবে এই অঞ্চলের ঝড়ের নাম দেওয়া হয়৷ বুলবুল নামটি নেওয়া হচ্ছে পাকিস্তানের প্রস্তাবিত নামের তালিকা থেকে৷

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.